বিনিয়োগ, লেনদেনের বহু ক্ষেত্রেই আয়করের বিভিন্ন নিয়মাবলী জড়িত। আর সেই কারণেই এ জাতীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
মুম্বইয়ের আয়কর বিশেষজ্ঞ বলবন্ত জৈন জানালেন, বড় অঙ্কের টাকার লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, স্টক মার্কেটে ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সে বিষয়ে ব্রোকারকে ব্যাসেন্সশিটে মেনশন করতে হবে। তাই বড় অঙ্কের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই থাকা প্রয়োজন। নয় তো আয়কর দফতরের নোটিশ আসতে পারে।
এই ৫টি ক্ষেত্রে লেনদেনের সময়ে সাবধানতা প্রয়োজন :
সেভিংস/কারেন্ট অ্যাকাউন্ট : সেভিংস অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ডিপোজিটের উর্ধ্বসীমা ১ লক্ষ টাকা। যদি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের ডিপোজিট ১ লক্ষ টাকার বেশি হয়, সেক্ষেত্রে আয়কর দফতরের নোটিশ আসতে পারে। একই ভাবে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা ৫০ লক্ষ টাকা। এর অন্যথা হলে আয়কর দফতরের নোটিশ মিলতে পারে।
ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট : ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্টের সময়ে ১ লক্ষ টাকা উর্ধ্বসীমা। এর চেয়ে বেশি হলে আয়কর দফতরের নজরে আসতে পারেন।
ব্যাঙ্ক ফিক্সড ডিপোজিট : ব্যাঙ্ক এফডি-তে ক্যাশ ডিপোজিটের ক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা ১০ লক্ষ টাকা। এর চেয়ে বেশি না করাই ভাল।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড/স্টক মার্কেট/বন্ড/ডিবেঞ্চার : এ জাতীয় ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সময়ে ১০ লক্ষের বেশি বিনিয়োগ করলে আয়কর রিটার্নে স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। নয় তো আয়কর দফতরের নোটিশ মিলতে পারে।
রিয়েল এস্টেট : কোনও সম্পত্তি ক্রয়ের সময়ে ৩০ লক্ষ টাকার অধিক ক্যাশ ট্রানজাকশানের ক্ষেত্রে তা আয়কর দফতরের নজরে আসতে পারে। এ জাতীয় ক্ষেত্রে আয়করের রিটার্নে তা স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।