বেশ কয়েক বছর ধরে চাকুরিজীবীদের কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর দাবি পূরণ হয়নি। এবার কি সেই দাবি পূরণ হবে? তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে বাজেটের সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হল আয়কর সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা। আয়করের স্ল্যাব পরিবর্তন করা হয়েছে কি না, আয়করের হার কমানো হয়েছে কি না, তা নিয়েই বেশি আগ্রহ মধ্যবিত্তের। এদিকে কয়েকদিন আগে প্রকাশিত রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এবার বাজেটে আয়কর হার কমানো হতে পারে। তবে নয়া কাঠামোতেই সেই ছাড় মিলতে পারে।
সরকারের ৩৫ হাজার কোটি খরচ হবে নয়া আয়কর নীতির ফলে
এই নয়া ঘোষণার ফলে সরকারের ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বছরে।
নতুন কর নীতির ওপর জোর
নতুন কর নীতির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন যারা পুরোনো নীতিতে কর দিতে চান, তারা তা জারি রাখতে পারেন।
সার্চার্জ কমানো হয়েছে
নতুন কর নীতির আওতায় সার্চার্জ ৩৭ শতাংশ থেকে নামিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
নতুন কর কাঠামো
পুরোনো নীতিতে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা আয়ে ৫ শতাংশ, ৬ থেকে ৯ লাখ পর্যন্ত আয়ে ১০ শতাংশ আয় দিতে হবে। ২০ লাখের বেশি আয় হলে ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে। যার আয় ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়, তাঁকে মাত্র বাৎসরিক ৪৫ হাজার টাকা কর দিতে হবে।
আয়কর নিয়ে বড় ঘোষণা
নতুন কর কাঠামোতে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না।
রাজস্ব ঘাটতি ৫.৯ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে
চলতি অর্থবর্ষে সংশোধিত রাজস্ব ঘাটতি হল ৬.৪ শতাংশ। আগামী অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতি ৫.৯ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুখবর
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সর্বোচ্চ ডিপোজিট সীমা ১৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করা হচ্ছে।
দাম বাড়ছে সিগারেটের, সোনা রফতানির ওপর কর বৃদ্ধি হচ্ছে
সিগারেটের দাম বাড়তে চলেছে এবছর। এদিকে সোনা এবং প্ল্যাটিনামের রফতানির ওপর কর বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট চালুর ঘোষণা
৪৭ লাখ যুবক-যুবতীকে স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। আগামী ৩ বছরের জন্য জাতীয় প্রকল্প চালু করা হবে। মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট চালুর ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। ২০২৫ সাল মার্চ পর্যন্ত সুযোগ মিলবে এই স্কিমে বিনিয়োগ করার। ২ লাখ পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়া যাবে এতে। সুদের হার ৭.৫ শতাংশ।
বিনিয়োগকারীদের জন্য পদক্ষেপ
বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হবে। বিনিয়োগকারীরা সময়মতো কোনও ডিভিডেন্ড না নিয়ে থাকলে পরবর্ততীতে যাতে তা সংগ্রহ করতে পারে, তার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি ব্যবস্থা চালু করা হবে।
KYC-র সরলীকরণ
কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সরলীকরণ হবে। সব ডিজিটাল লেনদেনের জন্য প্যান হবে একমাত্র প্রয়োজনীয় নথি।
রেলের জন্য বরাদ্দ ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি
রেলের জন্য বরাদ্দ ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা। পরিবহণ পরিকাঠামোয় বরাদ্দ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। জিডিপির মোট ৩.৩ শতাংশ পরিমাণ লগ্নি করা হবে মূলধনী খাতে।
মূলধনী খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে
টানা তৃতীয় বছর মূলধনী খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। এবছর তা ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ লক্ষ কোটি টাকা করা হচ্ছে।
বেসরকারি লগ্নি বেড়েছে দেশে
অর্থমন্ত্রী জানান, কোভিড অতিমারির পরবর্তী সময়কালে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বেড়েছে দেশে।
আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে
আবাস যোজনায় ৬৬ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়ে ৭৯ হাজার কোটি টাকা করার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলী সীতারামন।
পিএম বিশ্বকর্ম কৌশল সম্মান প্যাকেজ চালুর ঘোষণা
প্রথাগত কারিগর এবং শিল্পীদের সহায়তার জন্য পিএম বিশ্বকর্ম কৌশল সম্মান প্যাকেজ চালু করা হয়েছে। এতে করে পণ্যের গুণমান, উৎপাদনের মাত্রা উন্নতি করতে সক্ষম হবেন কারিগররা। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী জানান, একলব্য মডেল স্কুলের জন্য আগামী ৩ বছরে ৩৮,৮০০ শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করবে কেন্দ্র।
কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে
পশুপালন, দুগ্ধ ও মৎস্য খাতের ওপর বিশেষ নজর রেখে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত করা হবে বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
পর্যটন শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, জোরদারভাবে পর্যটনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে, যাতে আরও পর্যটক আসেন। এই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে বলে জানান নির্মলা।
ক্যাবিনেটে অনুমোদিত বাজেট
ক্যাবিনেটের অনুমোদন পেয়ে গেল ২০২৩ সালের বাজেট। আর কয়েক মিনিট পরই সংসদে পেশ করা হবে এই বাজেট।
‘সেরা বাজেট হবে’
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী দাবি করেন, এবছরের বাজেট সেরা বাজেট হবে। তিনি বলেন, ‘এটা গরিব মানুষ, মধ্যবিত্র মানুষের জন্য বাজেট হবে।’
অপেক্ষা আর কয়েক মিনিটের
১১টায় সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি ছাড়া অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ ভাগওয়াত কিষাণরাও করাদ এদিন উপস্থিত থাকবেন সংসদে। তার আগে রীতি মেনে নর্থ ব্লক, রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সেখান থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন তিনি।
আশায় বুক বাঁধছেন মধ্যবিত্ত ও বেতনভোগীরা
মধ্যবিত্ত ও বেতনভোগীদের আশা, এবার আয়কর কাঠামোয় পরিবর্তন করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যিনি সম্প্রতি বলেছিলেন যে তিনি নিজেকে মধ্যবিত্র হিসেবে মনে করেন এবং তাঁদের সমস্যা বুঝতে পারেন। সেই পরিস্থিতিতে বার্ষিক ২.৫ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকার আয়সীমার ক্ষেত্রে কাঠামো পরিবর্তন করা হতে পারে। সেইসঙ্গে ৫০,০০০ টাকার 'স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন' নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে। অনেকের আশা, ৮০সি-র আওতায় পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ), মিউচুয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে ডিডাকশন বাড়ানো হতে পারে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই সংসদে বাজেট পেশ করবেন নির্মলা
সংসদ ভবনে শুরু হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাজেট অনুমোদন হওয়ার পর তা সকাল ১১টা নাগাদ সংসদে পেশ করবেন নির্মলা সীতারামন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী
বাজেট পেশের আগে শীঘ্রই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এরপর সকাল ১০টার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসবে।
বিমায় করছাড়ের দাবি
বিমা করলে আয়করে ছাড় বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছেন অনেকেই। অনেকেরই মত, বিমা করতে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে এই ছাড় ঘোষণা করা উচিত সরকারের। সামগ্রিক ভাবে সমাজের জন্য তা ভালো হবে আশা অনেকের।
শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীদের মুখে ফুটবে হাসি?
দীর্ঘ্যমেয়াদি মূলধন লাভের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের দাবিও জানাচ্ছেন আয়করদাতারা। এতে বিশেষ ভাবে লাভবান হবেন স্টক মার্কেট এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা।
গৃহঋণে করছাড়ের দাবি
গৃহঋণে উৎসাহ বাড়াতে কর ছাড় দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন করাদাতারা। বর্তমানে হোম লোনে সুদের হার অনেকটাই বেশি। বর্তমানে গৃহঋণের ক্ষেত্রে আয়করের ওপর সর্বাধিক ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়।
৮০ টিটিবি ধারায় মেলে কত ছাড়?
বিশেষ ভাবে সক্ষম আত্মীয়ের দেখাশোনা করলে ৮০ ডিডি ধারায় খরচ বাবদ কর ছাড় মেলে। করদাতার বয়স ৬০ বছরের কম হলেও চিকিৎসার খরচ বাবদ ৪০ হাজার টাকা কর ছাড় মেলে ৮০ ডিডিবি ধারায়। এদিকে ষাটোর্ধ্ব করদাতারা এই ধারায় ১ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের দাবি জানাতে পারেন। প্রবীণ করদাতারা যদি ঋণ পরিশোধ করেন, তাহলে তার সুদ বাবদ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় মিলবে ৮০ টিটিবি ধারায়।
৮০ই ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায় কতটা?
উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণের ওপর ৮০ই ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায়। ঋণ পরিশোধের বছর থেকে আগামী ৮ বছর পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এই ছাড়ের উপর কোনও ঊর্ধসীমা নেই। নিজের, সন্তান, স্ত্রী বা স্বামীর নামে নেওয়া চিকিৎসা বিমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায় ৮০ডি ধারায়। প্রিমিয়াম বাবদ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় মেলে এতে। এ ছাড়াও ৬০ বছরের কম বয়স্ক বাবা-মার জন্য যদি চিকিৎসা বিমা থেকে থাকে, তাহলে আরও ২৫ হাজার টাকা ছাড় মিলবে এই ধারায়। ষাটোর্ধ্ব বাবা-মার চিকিৎসা বিমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা।
৮০ টিটিএ ধারায় মেলে কোন ছাড়?
ব্যাঙ্ক, কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে আমানতের পাওয়া সুদ বাবদ ১০ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যায় আয়কর আইনের ৮০ টিটিএ ধারায়। এদিকে অফিস থেকে হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স না পেলে বাড়ি ভাড়া বাবদ কর ছাড় পাওয়া যায় ৮০ জিজি ধারায়। তবে এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। নিজের বা নিজের স্বামী-স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট বা সম্পত্তি থাকলে এই ছাড় পাওয়া যাবে না।
৮০ সিসিসি ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায় কোন ক্ষেত্রে
অ্যানুইটি পেনশন প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৮০ সিসিসি ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে মাইনের ১০ শতাংশ অথবা স্বনিযুক্ত হলে আয়ের ২০ শতাংশ কর ছাড় পাওয়া যায় ৮০ সিসিডি (১) ধারায়। অটল পেনশন যোজনা এবং এনপিএস প্রকল্পে বিনিয়োগে ৮০ সিসিডি (১বি) ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এদিকে চাকরিজীবীরা ৮০ সিসিডি (২) ধারাতেও এনপিএস প্রকল্পে বিনিয়োগের ওপর কর ছাড়ের দাবি জানাতে পারে।
৮০সি ধারায় কোন কোন ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়
ভবিষ্যনিধি, জীবন বিমা, ইএলএসএস, গৃহঋণের মূল পরিমাণ পরিশোধের অর্থ, ইউলিপ, পাঁচ বছরের ট্যাক্স সেভিং ফিক্সড ডিপোজিট, বাড়ি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের স্ট্যাম্প ডিউটি, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
৮০সি ধারায় করছাড় বৃদ্ধি পাবে?
অনেক করদাতাই চান যাতে আয়কর আইনের ৮০সি-এর অধীনে দেওয়া দেড় লাখ টাকার ছাড় আরও বৃদ্ধি করা হোক।
নয়া কর কাঠামোর বর্তমান স্ল্যাব
পাঁচ লাখ টাকা থেকে ৭.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আয়কর দিতে হয়। ৭.৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১০ লাখ টাকা থেকে ১২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ২০ শতাংশ আয়কর দিতে হয়। এছাড়া ১২.৫ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ এবং ১৫ লাখের বেশি হলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়।
নয়া কর কাঠামোয় কার্যত কোনও করছাড় পাওয়া যায় না
নয়া কর কাঠামোয় কার্যত কোনও করছাড় (প্রভিডেন্ট ফান্ড, গৃহঋণ, জীবনবিমা, স্বাস্থ্যবিমার মতো বিষয়) পাওয়া যায় না। মেলে না হাউজ রেন্ট অ্যালোয়েন্স বাবদ ছাড়ও। যা পুরনো কর কাঠামোয় পাওয়া যায়। তার ফলে যে টাকার কর দিতে হয়, সেটা অনেকটাই কমে যায়। সেই পরিস্থিতিতে নয়া কাঠামোয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে করের হার কম থাকলেও করদাতারা পুরনো কর কাঠামোর আওতায় থাকতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন বলে মত অনেক বিশেষজ্ঞের।
নয়া কর কাঠামোতে কী সুবিধা?
২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে নয়া কর কাঠামো কার্যকর হয়েছে। সেই নয়া কর কাঠামোয় ২.৫ লাখ টাকার নীচে বার্ষিক আয় হলে কর দিতে হয় না। ২.৫ লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকার কম পর্যন্ত দিতে হয় পাঁচ শতাংশ কর। তবে আয়কর রিটার্ন ফাইল করলে সেই করের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
২০২০ সালে চালু হয়েছিল নয়া কর কাঠামো
পুরনো কর কাঠামো চালু রাখার পাশাপাশি ২০২০ সালে একটি নয়া কর কাঠামো চালু করা হয়েছিল। এর আগে ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা ২০১৪ সালে শেষবার পরিবর্তন করা হয়েছিল। ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা দু'লাখ টাকা থেকে ২.৫ লাখ টাকা করা হয়। যা প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে করা হয় তিন লাখ।
আয়করে কোনও ছাড় মিলবে?
লোকসভা ভোটের আগে শেষ পূর্ণ বাজেট পেশ হতে চলেছে আজ। এই আবহে এই বাজেট 'পপুলিস্ট' হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে সরকারি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অর্থ মন্ত্রক আয়কররে হার কমানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সরকারি কর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়করের হার কমানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত আয়করের হার কমে কি না, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আর কিছুক্ষণ।