কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়করে একাধিক নয়া নীতির ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে চলেছে সেই নয়া নীতি।
আরও বেশি নাগরিক যাতে সময়ে আয়কর দাখিল করেন, সেই উদ্দেশ্যেই চালু হচ্ছে বেশ কিছু নয়া নীতি। সেই কারণেই PF ক্ষেত্রে চালু হচ্ছে নয়া কর নীতি। তাছাড়া TDS ও TCS বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, নয়া শ্রম ও বেতন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আনা হয়েছে আয়করের ক্ষেত্রে পরিবর্তন। আয়কর প্রদানের প্রক্রিয়া সহজতর করার চেষ্টাও করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। চালু হচ্ছে প্রি-ফিলড আয়কর রিটার্নের আবেদনপত্র।
এক নজরে দেখে নিন কী কী পরিবর্তন আসছে ১ এপ্রিল থেকে :
সিনিয়র নাগরিকদের জন্য সুবিধা :
৭৫ বছর ও তাঁর উর্ধ্বে বয়সী যাঁরা আয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পেনশন ও ব্যাঙ্কের সুদের টাকায় নির্ভরশীল, তাঁদের আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে না। যে ব্যাঙ্কে তাঁরা পেনশন পান, সেখানেই হিসেব করে কেটে নেওয়া হবে টাকা।
প্রি-ফিল করা আয়করের রিটার্নের ফর্ম :
প্রত্যেক করদাতা প্রি-ফিলড আয়কর রিটার্নের ফর্ম পাবেন। অর্থাত্ এবার আগে থেকেই করদাতার সমস্ত তথ্যা ভরা থাকবে ফর্মে। আয়, সঞ্চয় থেকে সুদবাবদ আয়, কর প্রদান ইত্যাদি সমস্ত তথ্য আগে থেকেই সেখানে উল্লেখিত থাকবে। তাই করপ্রদানের প্রক্রিয়া সহজতর হবে।
PF-এর ক্ষেত্রে নয়া কর নীতি :
পিএফ বাবদ ৫ লক্ষ টাকার অধিক কর্মীর তরফে জমা হলে তাতে এবার থেকে কর প্রযোজ্য হবে। ৫ লক্ষের উপর জমা রাখলে তার ওপর যে সুদটি জমবে, সেটার ক্ষেত্রে কর চাপানো হবে। তবে এক্ষেত্রে নিয়োগকারী সংস্থা যে টাকা জমা করছে সেটি ধরা হবে না।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায়, 'নয়া EPF নীতি কর্মীদের স্বার্থ মাথায় রেখেই করা। মাসে ২ লক্ষ টাকার কম আয় করা কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।'
TDS :
এ ক্ষেত্রে নয়া নীতির মূল উদ্দেশ্য আরও বেশি সংখ্যক নাগরিককে আয়কর দাখিল করতে উত্সাহিত করা। চলতি বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী TDS ও TCS বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছেন।
এছাড়াও বাজেটে Income Tax Act-এ দুটি নয়া সেকশন, 206AB ও 206CCA যোগ করার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই নীতি অনুযায়ী যাঁরা আয়কর ফাইল করবেন না, তাঁদের অতিরিক্ত হারে TDS ও TCS কেটে নেওয়া হবে।
LTC :
২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে লিভ ট্র্যাভেল কনশেসন(LTC)-এ করমুক্তির ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। গত বছর করোনা লকডাউনের সময়েই এই নীতির কথা জানায় কেন্দ্র। এ বছর পুরো টাকাটাই পেয়ে যাবেন কর্মীরা। মূলত সরকারি কর্মীরা এতে লাভবান হবেন।