এমব্রয়ডারির কাজ করেন ফুল মিঁয়া নামে এক ব্যক্তি। কত টাকা আর আয় করেন তিনি! আর সেই ফুল মিঁয়ার নথি ব্যবহার করে দিল্লিতে একটি ভুয়ো ফার্ম খোলা হয়েছিল। আসলে তাকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে নথি নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই নথি দেখিয়ে ভুয়ো এক্সপোর্ট ফার্ম খোলা হয়েছিল।
উত্তরপ্রদেশের বরেলি। ওই এমব্রয়ডারি শ্রমিকের নথি দেখিয়ে একটি ভুয়ো এক্সপোর্ট ফার্ম তৈরি করা হয়েছিল। আর সেখানে ২.৩২ বিলিয়ন লেনদেনের বিষয়টি দেখানো হয়। তারপরই ওই ব্যক্তির কাছে আয়কর দফতর নোটিশ পাঠায়।
এদিকে দিল্লির আয়কর দফতর থেকে নোটিশ পাওয়ার পরেই মাথায় হাত পড়ে যায় ওই শ্রমিকের। এদিকে কেন তার নথি ব্যবহার করে ওই ফার্ম খোলা হয়েছে এনিয়ে তিনি প্রশ্ন করতেই বচসা শুরু হয়ে যায়। এরপরই তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে ফুল মিঁয়া নামে ওই ব্যক্তি বরেলিতে কাজ করতেন। তিনি এমব্রয়ডারির কাজ করতেন। তিনি লুধিয়ানা, পানিপত সহ বিভিন্ন জায়গায় কাজের সূত্রে যেতেন।
এদিকে ২০১৮ সালে তিনি বেশ কষ্টের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি গুড্ডু সুন্দর নামে এক ব্যক্তিকে বলেন একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন আমায়। এদিকে সেই গুড্ডু মাঝেমধ্যেই দুবাই যেতেন।
এদিকে ফুল মিঁয়া এরপর তার আধার কার্ড, প্যান কার্ড সবগুলি গুড্ডুকে দিয়ে দেন। তাকে কাজের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের জেরে সব ওলটপালট হয়ে যায়।
এদিকে এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি দিল্লির আয়কর দফতর থেকে একটি চিঠি পান। সেখানে বলা হয়েছিল আপনার HI Cloud Impax ২.৩২ বিলিয়ন টাকার লেনদেন করেছে। কিন্তু আপনারা কর দেননি।
এদিকে তারপরই ফুল মিঁয়া গুড্ডুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা বলেন, তোমার নথি দিয়ে একটা কোম্পানি খোলা হয়েছে। জিএসটির জন্য় আবেদন করা হয়েছে। ব্যাপারটি মিটে যাবে বলে বলা হয়েছিল। তারপর দিনের পর দিন কেটে গিয়েছে। ফের চিঠি দিয়েছে আয়কর দফতর। ফের গুড্ডুদের জানানো হয়। কিন্তু তারা মানতে চাননি। এমনকী হুমকি দিতে শুরু করে তারা।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে ফুল মিঁয়ার নথি ব্যবহার করে কোম্পানি খোলা হয়েছিল। সেখানে ২০০ কোটি টাকার লেনদেন করা হয়েছে। এনিয়ে মামলা করা হয়েছে। আপাতত এনিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।