মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সিবিআই তল্লাশির সময় তার দুটি মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলেছিলেন বাড়ির পাশের পুকুরে। সিবিআই অবশ্য পরে তা উদ্ধার করে। আর একেবারে সেই কায়দাতেই আয়কর দফতরের এক আধিকারিক গত বছর তার সহকর্মীকে বাঁচাতে দুটি ফোন সবরমতী নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সেবার কি সফল হতে পেরেছিল সিবিআই? তারা কি নদী থেকে ফোন উদ্ধার করতে পেরেছিল? ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সিবিআই ওই আয়কর আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তার সহকর্মীকে পালাতে সহায়তা করেছিলেন। গত বছর অক্টোবর মাসে গুজরাটের অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো একটি ঘুষের অভিযোগের ভিত্তিতে ফাঁদ পেতেছিল।
সোমবার সেই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছে সিবিআই। সিবিআইয়sর দাবি আইআরএস অফিসার সন্তোষ কর্নানি সেই সময় অ্য়াডিশনাল কমিশনার অফ ইনকাম ট্যাক্স হিসাবে কাজ করতেন। তাকে ধরতে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। কিন্তু আমেদাবাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ ইনকাম ট্যাক্স বিবেক জোহরি তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
সেই সময় রুপেশ ব্রহ্মট নামে এক বিল্ডার অভিযোগ তোলেন কর্নানি তার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছেন। এরপর এসিবি টিম ফাঁদ পাতে তাকে ধরতে। সেই মতো ৩০ লাখ টাকা তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। আর সেই সময় জোহরি আচমকা গন্ডগোল পাকিয়ে দেন যাতে কর্নানি পালিয়ে যেতে পারেন। এরপর গুজরাট সরকার গোটা মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়।
এদিকে পালানোর সময় কার্নানি তার দুটি মোবাইল ফোন জোহরির হাতে দিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি গা ঢাকা দেন। আর জোহরি ওই দুটি ফোনকে সবরমতী নদীতে ফেলে দেন প্রমাণ লোপাটের জন্য। জানিয়েছে সিবিআই।
তবে শেষ পর্যন্ত সেই নদী থেকে মোবাইল ফোন দুটিকে উদ্ধার করেছিল সিবিআইয়ের দুঁদে গোয়েন্দারা। একেবারে ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধার করা হয় ফোন দুটিকে। এমনকী রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে একটি যন্ত্র দিয়ে মোবাইল দুটিকে খুঁজে বের করা হয়েছিল। এতটাই লেগে থাকার মানসিকতা সিবিআইয়ের।
কার্যত জীবনকৃষ্ণের মতোই ঘটনা। কিন্তু তদন্ত ছেড়ে বেরিয়ে আসেনি সিবিআই। জীবনকৃষ্ণের বেলায় যেমন পাঁক ঘেঁটে উদ্ধার করেছে মোবাইল ফোন তেমনি গুজরাটে সবরমতী নদীর নীচে থেকে উদ্ধার করেছিল মোবাইল।