কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়করে একাধিক নয়া নীতির ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে চলেছে সেই নয়া নীতি।
প্রসঙ্গত, নয়া নীতি অনুযায়ী ৭৫ বছর ও তার উর্ধ্বে সিনিয়র সিটিজেন- যাঁদের মোট আয় পেনশন ও ফিক্স ডিপোজিটের উপর নির্ভরশীল তাঁদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে না। এছাড়াও নয়া নীতি অনুযায়ী যাঁরা সময়ে আয়কর ফাইল করছেন না, তাঁদের জন্য আরও বেশি হারে TDS কাটার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া যাঁরা EPF অ্যাকাউন্টে এমপ্লয়ি কনট্রিবিউশন বার্ষিক ২.৫ লক্ষের বেশি , সেটার সুদের ওপর কর আরোপের ঘোষণা করেন সীতারমন।
চলতি বছরের বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী মূলত ৫টি ক্ষেত্রে আসছে বদল:
PF-এর ক্ষেত্রে কর নীতি : পিএফ বাবদ আড়াই লক্ষ টাকার অধিক কর্মীর তরফ থেকে জমা হলে সেটিতে এবার থেকে কর প্রযোজ্য হবে। আড়াই লাখের ওপর জমা রাখলে তার ওপর যে সুদটি জমবে, সেটার ওপর কর চাপবে। তবে এই হিসেবে সংস্থা যে টাকা জমা দিচ্ছে সেটিকে ধরা হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায়, 'নয়া EPF নীতি কর্মীদের স্বার্থ মাথায় রেখেই করা। মাসে ২ লক্ষ টাকার কম আয় করা কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।'
TDS : এ ক্ষেত্রে নয়া নীতির মূল লক্ষ্য যাতে আরও বেশি সংখ্যক নাগরিক আয়কর দাখিল করেন। চলতি বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী TDS ও TCS বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছেন।
এছাড়াও বাজেটে Income Tax Act-এ দুটি নয়া সেকশন, 206AB ও 206CCA যোগ করার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই নীতি অনুযায়ী যাঁরা আয়কর ফাইল করবেন না, তাঁদের অতিরিক্ত হারে TDS ও TCS কেটে নেওয়া হবে।
সিনিয়র নাগরিকদের জন্য আয়কর মুক্তি : ৭৫ বছর ও তাঁর উর্ধ্বে বয়সী যাঁরা আয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পেনশন ও ব্যাঙ্কের সুদের টাকায় নির্ভরশীল, তাঁদের আয়কর রিটার্ন জমা করার কোনও প্রয়োজন নেই। এটি যে ব্যাঙ্কে তাঁরা পেনশন পান, তারাই হিসেব করে কেটে নেবে প্রয়োজনীয় টাকা।
প্রি-ফিল করা আয়করের রিটার্নের ফর্ম : প্রত্যেক করদাতাকে প্রি-ফিলড আয়কর রিটার্নের ফর্ম দেওয়া হবে। অর্থাত্ এবার আগে থেকেই সমস্ত তথ্যাবলী ভরা থাকবে ফর্মে। সমস্ত রকম আয়, সঞ্চয় থেকে সুদবাবদ আয়, কর প্রদান ইত্যাদি সমস্ত তথ্য আগে থেকেই সেখানে উল্লেখিত থাকবে। তাই করপ্রদানের প্রক্রিয়া সহজতর হবে।
LTC : ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে লিভ ট্র্যাভেল কনশেসন(LTC)-এর ভাতায় করমুক্তির ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। গত বছর করোনা লকডাউনের সময়েই এই নীতির কথা জানায় কেন্দ্র।