আপনার বার্ষিক আয় কি ৭.৭৫ লাখ টাকা? তাহলে আপনাকে এক পয়সাও আয়কর দিতে হবে না। অর্থাৎ কোনও অর্থবর্ষে কোনও করদাতার আয় যদি ৭.৭৫ লাখ টাকা হয়, তাহলে তাঁকে দিতে হবে না আয়কর। এতদিন যাঁদের বার্ষিক আয় ৭.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছিল, তাঁদের আয়কর দিতে হত না। তবে এবার বাজেটে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের পরিমাণ যেহেতু ২৫,০০০ টাকা বাড়িয়ে ৭৫,০০০ টাকা করা হয়েছে, তাই স্বভাবতই ৭.৫ লাখ টাকার পরিবর্তে ৭.৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর লাগবে না। আর সেটার জন্য বর্ধিত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের নিয়মটা কাজে লাগাতে হবে (নয়া আয়কর কাঠামোয়)।
নয়া আয়কর কাঠামো কীরকম হয়েছে?
কীভাবে ৭.৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর দিতে হবে না?
২০২৩ সালের বাজেটে আয়কর আইনের ৮৭এ ধারায় আওতায় সর্বোচ্চ রিবেট বাড়িয়ে ২৫,০০০ করা হয়েছিল (নয়া আয়কর কাঠামোর অধীনে)। আজ যে নয়া আয়কর কাঠামোর ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, সেটার নিরিখে কারও বার্ষিক আয় যদি ৭.৭৫ লাখ টাকা হয়, তাহলে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের আওতায় ৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত করছাড়ের সুবিধা নিতে পারেন। আর করযোগ্য আয় সাত লাখ টাকায় ঠেকবে।
সেক্ষেত্রে আয়কর হিসেবে যে অঙ্কটা দিতে হবে, সেটার আয়কর আইনের ৮৭এ ধারার রিবেটের আওতায় চলে আসবে। সেই পরিস্থিতিতে নিট আয়করের অঙ্কটা শূন্য হয়ে যাবে। নয়া আয়কর কাঠামোর (আজ যেটা ঘোষণা করেছেন সীতারামন) আওতায় যাঁদের বার্ষিক আয় ৭.৭৫ লাখ টাকা, তাঁদের কোনও আয়কর লাগবে না।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন কারা পান?
নয়া আয়কর কাঠামো অনুযায়ী, বেতন বা স্যালারি হিসেবে প্রাপ্ত টাকার উপরে বছরে ৭৫,০০০ টাকা ক্লেইম করতে পারবেন। যা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হিসেবে পরিচিত। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ক্লেইম করলে করযোগ্য আয় কমে যায়। ফলে আয়করের হারের আকাশ-পাতাল তফাৎ হয়ে যেতে পারে। কারণ যে আয়কর প্রদান করতে হয়, সেটা করযোগ্য আয়ের উপরে করতে হয়।