করোনা অতিমারিতে জেরবার রাশিয়ায় এবার রক্তচোষা পোকার দাপটে দিশেহারা মানুষ। বিবর্তনে দক্ষ এই পোকা সংক্রামক জীবাণু বয়ে বেড়ায়, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সংবাদপত্র জ্ভেজদা-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সাইবেরিয়া অঞ্চলের বেশ কিছু প্রান্তে হানা দিয়েছে রক্তপিপাসু হাইব্রিড পোকার ঝাঁক। এর মধ্যে এক জায়গায় অন্য জায়গার তুলনায় ৪২৮ গুণ বেশি পোকা দেখা দিয়েছে।
পত্রিকার নিবন্ধে বলা হয়েছে, ছোট ও বড়, দুই রকম ঘাসে বাসা বাঁধে এই পোকা। কাছাকাছি মানুষের সাড়া পেলেই তারা দেহের খোলা জায়গা তাক করে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মানুষের শরীর থেকে এর পর তারা ক্রমাগত রক্ত শুষে নিতে থাকে।
পতঙ্গ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই বিবর্তিত পোকাগুলি বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করতে সক্ষম। এদের মাধ্যমে অচিরেই ছড়িয়ে যেতে পারে মারাত্মক কোনও রোগের জীবাণু। তাই এই পোকা কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নিবন্ধে।
বর্তমানে জনবিরল সাইবেরিয়া অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের প্রভাবে অধিকাংশ হাসপাতালেই স্থানাভাব দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে রক্তচোষা পোকার উপদ্রবে প্রমাদ গুণছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, অঞ্চলের হাসপাতালগুলিতে পোকার কামড় থেকে সংক্রমণজনিত রোগে প্রতিষেধকের অভাব দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতিসাধনকারী এনসেফেলাইটিস, স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদযন্ত্র আক্রমণকারী লাইম ডিজিজ-এর মতো জটিল রোগ।
দ্য ডেইলি মেল পত্রিকা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত উরাল-এর স্ভেরদলোভস্ক অঞ্চলে মোট ১৭,২৪২ জন রক্তচোষা পোকার কামড়ের শিকার হয়েছেন। তার মধ্যে ৪,৩৩৪ জন শিশু। পোকার কামড়ের পরে ৩৬% রোগীর লাইম ডিজিজ দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, শীতে এই পোকাদের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়।