দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রবিবার বেশ জোরের সঙ্গেই জানিয়ে দিলেন দিল্লির মানুষ সেখানকার সাতটি লোকসভা আসন আপকেই দেবেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গও কার্যত উড়িয়ে দিলেন তিনি।
পঞ্জাবে একটা জমায়েতে তিনি বলেন, দিল্লির মানুষ আপের হাতেই সাতটি লোকসভা আসন তুলে দেবেন। যদি পাঞ্জাবের মানুষ ১৩টি আসন আপের হাতে তুলে দেন তবে ভগবন্ত মান সরকার আরও শক্তিশালী হবে। তাহলে কেন্দ্র আর প্রাপ্য টাকা আটকে রাখতে পারবে না।
এদিকে এর আগে কংগ্রেস ও আপ দুই দলই ৪:৩ এই আসন ভাগাভাগির জায়গায় ছিল। তবে কংগ্রেস আরও একটি আসন চাইছিল বলে খবর।
তবে আপ প্রধান কিন্তু যে হিসেব দিচ্ছেন তাতে কংগ্রেসের কোনও স্থান নেই। এখানে যারা দাঁড়াবেন তারা সবাই আপের। এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছেন তিনি। এদিকে কংগ্রেস, আপ সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের মধ্য়ে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে যার মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন রাজ্যগুলিতে। জোটের নাম মাত্র নেই। বাংলা, পাঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্যে এই ধরনের জোট কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি চন্ডীগড়ে মেয়র পদে ভোটে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস ও আপের মধ্য়ে একটা বোঝা পড়া হয়েছি কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ও আপ কেউই ওই ভোটে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে ওখানে অনিয়মের অভিযোগও উঠেছিল।
এদিকে জোট নিয়ে কার্যত তিতিবিরক্ত আপ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সম্প্রতি অসমে আপের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ পাঠক অসমে তিনটি লোকসভা আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন। কার্যত দিনের পর দিন ধরে জোট নিয়ে কোনও কিছু ফলপ্রসূ না হওয়ার জেরেই তিনি আপের হয়ে একাই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন।
অন্যদিকে গুজরাটেও গত জানুয়ারি মাসে একটা আসনে আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন। এদিকে সামনেই লোকসভা ভোট। কিন্তু জোটের জট কাটেনি এখনও।। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি রাজনৈতিক জমি ছাড়তে চাইছে না। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত জোটের কী হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে বাংলাতেও তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যো জোটের নামমাত্র নেই। সেক্ষেত্রে লোকসভা ভোটে জোট আদৌ থাকবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।