বাংলাদেশ যতই বাধা দিক, সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। জলপাইগুড়ি সীমান্ত নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে সেই নির্দেশ এসেছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিএসএফকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ (বিজিবি) যদি বেড়া দেওয়ার কাজ নিয়ে আপত্তি তোলে, তাহলে উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে যেন জানানো হয়। কিন্তু বেড়া দেওয়ার কাজ কোনওভাবে বন্ধ রাখা যাবে না বলে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
জলপাইগুড়িতে বেড়ার কাজ শুরু ২০২৪ সালেই
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি সীমান্তের প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে বেড়া নেই। কাঁটাতারের যে বেড়া আছে, তার অপরদিকে ছ’টি গ্রাম আছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩০ কিমি অংশে বেড়া বসানোর দরকার আছে। নয়া বছর শুরুর আগে কাজও শুরু হয়ে যায়। তবে যেখানে যেখানে সমস্যা আছে, তা সমাধানের বার্তা দেওয়া হয়েছে। আর কেউ যদি জমি দিতে না চান, তাহলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাজারদরের পাঁচগুণ পর্যন্ত টাকা প্রদানেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
সীমান্ত নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ভারত
এমনিতে সার্বিকভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, তা আপাতত তেমন প্রশমিত হয়নি। ভারতের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে যাবতীয় নিয়ম এবং প্রোটোকল মেনেই সীমান্তে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। অতীতে যে সমঝোতা হয়েছিল, সেটা মেনে বাংলাদেশ চলবে বলে আশাপ্রকাশ করছে নয়াদিল্লি। আর আন্তঃসীমান্ত অপরাধ রুখতে সেই বেড়া দেওয়ার কাজটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
বাংলাদেশের তরফে প্রায় রোজ মুখ খোলা হচ্ছে
যদিও তারপরও বাংলাদেশের তরফে সেরকম সদর্থক বার্তা মেলেনি। বরং নিত্য-নতুন দাবি করে আসছে ঢাকা। মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দাবি করেছেন যে আগামী মাসে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) পর্যায়ের যে বৈঠক হবে, সেখানে ‘অসম’ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আর বুধবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে বিশেষ কারণে কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা।