ভারতীয় বাহিনীকে শায়েস্তা করার জন্য তিনি একাই যথেষ্ট- বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তথা বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশের (বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার এক অফিসার এমনই দাবি করেছেন বলে সেদেশের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে সেই প্রতিবেদনটির আর খোঁজ মিলছে না। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই এমন বার্তা
আর তিনি এমন একটা সময় সেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যখন সীমান্তের একাধিক জায়গায় সংঘাতে জড়িয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবি। ভারতীয় ভূখণ্ডে বিএসএফ বেড়া দিলেও বাংলাদেশের বাহিনীর তরফে হইচই পাকানো হতে থাকে। কয়েকটি জায়গায় সাময়িকভাবে কাজও বন্ধ হয়ে যায়। সেই উত্তেজনা প্রশমনের জন্য স্থানীয় স্তরের পাশাপাশি কূটনৈতিক পর্যায়েও বৈঠক হয়েছে। কিন্তু জট কাটেনি।
সেই পরিস্থিতিতে বুধবার বাংলাদেশের সোনা মসজিদ বর্ডার আউটপোস্টের কাছে সেক্টর কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন বিএসএফের মালদা সেক্টরের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) তরুণকুমার গৌতম এবং বিজিবির রাজশাহি সেক্টর কম্যান্ডার কর্নেল মহম্মদ ইমরান ইবনে রউফ। সঙ্গে ছিলেন দু'দেশের ব্যাটেলিয়ন কম্যান্ডাররাও।
ভারতের নিরিখে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি কতটা?
ওই বৈঠকের পরদিনই বিজিবির অফিসার এরকম 'গরম' মন্তব্য করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। সেই প্রতিবেদন পরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তির রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরেই বিশ্বের চতুর্থ শক্তিধর দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ আছে ৩৫ নম্বরে।
বাংলাদেশের ১২ গুণ বেশি যুদ্ধবিমান আছে ভারতের কাছে
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় বয়ুসেনার হাতে ৫১৩টি যুদ্ধবিমান আছে। সেখানে বাংলাদেশের কাছে আছে ৪২টি যুদ্ধবিমান। এমনকী বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান মিলিয়ে যতগুলি যুদ্ধবিমান আছে, তা ভারতের প্রায় অর্ধেক। ভারতের পড়শি দু'দেশের হাতে মোট ৩৭০টি যুদ্ধবিমান আছে। আর বাংলাদেশের তুলনায় ১২ গুণ বেশি যুদ্ধবিমান আছে ভারতের কাছে। শুধু আকাশপথে নয়, স্থলভাগেও বাংলাদেশের থেকে ধারেভারে কয়েক মাইল এগিয়ে আছে ভারত। বাংলাদেশের হাতে মোট ৩৫০টি ট্যাঙ্ক আছে। সেখানে ভারতের হাতে ট্যাঙ্কের সংখ্যা ৪,২০১টি।