সীমান্ত সমস্যা সমাধানের উদ্দেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নতুন করে আর সেনা পাঠানো হবে না বলে ঠিক করল ভারত ও চিন। মঙ্গলবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়্যাং ওয়েনবিনকে উদ্ধৃত করে এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ভারত ও চিনের মধ্যে ষষ্ঠ কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকে সাম্প্রতিক সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মত বিনিময় হয়েছে। আলোচনায় পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার ও উত্তেজনা প্রশমিত করার উদ্দেশে ভারত ও চিনের মধ্যে একটি পাঁচ বিষয়ক চুক্তি সম্পাদনার কথা হয়েছে।
সোমবার পূর্ব লাদাখের চুসুল অতিক্রম করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বিপরীত দিকে চিনা ভূখণ্ডের মলডো-তে সকাল ১০টা নাগাদ বৈঠকে বসেন দুই দেশের সামরিক আধিকারিকরা। আলোচনা চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন লেহতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৪ কর্পস বাহিনীর কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং।
এ ছাড়া ওই দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ভারতীয় বিদেশ মন্চত্রকের একজন যুগ্ম সচিব পর্যায়ের আধিকারিক এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন, যিনি আগামী অক্টোবর মাসে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন। চিনা দলের নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ শিনজিয়াং সামরিক অঞ্চলের কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন। উল্লেখ্য, এই প্রথম ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা সংক্রান্ত সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেন।
বৈঠকের আগে ভারতের পক্ষে আলোচনার বিষয়বস্তু চূড়ান্ত হয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানের মধ্যে শুক্রবারের এক বৈঠকে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হওয়ার মুহূর্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ছয়টি প্রধান পাহাড়চুড়ো দখলে রাখার সুবাদে এলাকায় প্রতিপত্তি বজায় রাখতে সফল হয়েছে ভারতীয় সেনা।