পূর্ব লাদাখে শান্তি প্রক্রিয়া ধরে রাখতে পঞ্চদশ সেনা পর্যায়ের বৈঠকে বসে ভারত ও চিন। ফ্রিকশন পয়েন্টে সংঘাতের বাতাবরণ প্রশমের উদ্দেশেই এই বৈঠক। যদিও ফ্রিকশন পয়েন্ট নিয়ে শেষ তিনটি বৈঠকে গালওয়ান, প্যানগং, গোগরা নিয়ে আলোচনা হলেও, সমাধান সূত্র সেভাবে বেরিয়ে আসেনি। এদিকে, লাদাখে এখনও দুই দেশের ৫০ হাজার ও ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।
চিন সীমান্ত বরাবর লাদাখে যাতে লাদাখের বিভিন্ন ইস্যু সমাধান করা যায়, তার লক্ষ্যে চিনের সঙ্গে বৈঠকে বসে ভারত। শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে এই বৈঠক শুরু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত তিনবারের বৈঠকে ফ্রিকশন পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হলেও সেভাবে রফাসূত্র বেরিয়ে আসেনি সেনা পর্যায়ের বৈঠকে। এদিকে, শুক্রবারও মলডো-চুশুলে ফের একবার সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বৈঠক হয়। উল্লেখ্য, দুই দেশই ইতিমধ্যে জানিয়েছে, সীমান্ত সংঘাতের সমস্যা সমাধানে দুই দেশই বদ্ধপরিকর। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে থেকে ভারতের লাদাখ সীমান্তে আগ্রাসন দেখিয়েছে চিন। উল্লেখ্য, এই বৈঠক নিয়ে যতটা আশাবাদী ভারত, ততটাই আশাবাদী চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, যে তাঁরা মার্চের এই বৈঠকটি ঘিরে আশার আলে দেখছেন লাদাখ ইস্যুতে। উল্লেখ্য, পঞ্চদশতম এই বৈঠকে ভারতের ফোকাসে ছিল হট স্প্রিং বা পেট্রোল পয়েন্ট ১৫ থেকে বিপক্ষের ফ্রন্টলাইন সেনার প্রত্যাহারের দাবি।
উল্লেখ্য, ভারতের পেট্রোল পয়েন্ট ১০, ১১, ১১ এ, ১২, ১৩, তে ভারতীয় সেনার নজরদারিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে চিনের সেনা মোতায়েনের কারণে। হট স্প্রিং ও ডেপসাংয়ে পিএলএর ফরোয়ার্ড অবস্থান রীতিমতো উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লির। এদিকে, ১২ মার্চ এই বৈঠক সম্পন্ন হতেই দুই দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, এলাকায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও পূর্ববর্তী আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ করা হয়েছে এই আলোচনায়। এর আগে ১৩ জানুয়ারি দুই দেশের যে বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ভারত ও চিন আলাদা আলাদা বিবৃতি দিয়েছে। তবে এবার তার থেকে পরিস্থিতি খানিকটা আলাদা।