প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখ সীমান্তে জট কেটে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলল। কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর টহলদারি নিয়ে ভারত এবং চিন ঐক্যমতে পৌঁছেছে বলে নয়াদিল্লির তরফে জানানো হল। আর সেটার ভিত্তিতেই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সোমবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি বলেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে আলোচনা চলেছে, সেটার ফলস্বরূপ ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা প্যাট্রলিং নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দু’দেশ।' সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ওই ঐক্যমতে পৌঁছানোর ফলে সেনা সরিয়ে নেওয়ার পথ প্রশস্ত হতে পারে। আর তার ফলে ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে যে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল, সেটার সমাধান হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশ সচিব।
২০২০ সালের আগেই অবস্থায় ফিরে যাবে?
যদিও ভারত এবং চিন ঠিক কোন কোন বিষয় নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে, তা খোলসা করে বলেননি মিসরি। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে অবস্থা ছিল, সেই জায়গাতেই ফিরে যাবে কিনা; সম্প্রতি টহলদারির জন্য যে ‘বাফার জোন’ তৈরি করা হয়েছে, সেটার কী হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
ডেসপ্যাং এবং ডেমচক নিয়েই সমাধানসূত্র?
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেসপ্যাং এবং ডেমচক এলাকা থেকে টহলদারি নিয়ে ভারত এবং চিন ঐক্যমতে পৌঁছেছে। যে দুটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাত চলে আসছে। গত সেপ্টেম্বরেই সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল যে পূর্ব লাদাখে ডেসপ্যাং এবং ডেমচক এলাকায় সংঘাত এখনও মেটেনি। অবশেষে ওই দুটি সংঘাতের জায়গায় সমস্যা মিটতে বলেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
মোদীর ব্রিকস সফরের আগেই ঘোষণা
আর সেই আশার আলো তৈরি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাশিয়া সফরের ঠিক একদিন আগেই। ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে যাবেন মোদী। সরকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। যদিও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।