কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মন্তব্যের জেরে চিড় খেয়েছিল ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক। কিন্তু মানবিকতার খাতিরে অতীত ভুলে করোনা নিরাময়ে কানাডার পাশে এসে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করল ভারত। করোনা ভ্যাকসিনের জন্য ট্রুডো ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যথাসাধ্য চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদী। কানাডার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এদিনের ফোনে কথাপোকথনে কৃষক আন্দোলনের কথাও উঠে এসেছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে যদিও তার উল্লেখ নেই।
মোদী বুধবার রাতে টুইট করেন যে তাঁকে ট্রুডো ফোন করেছিলেন। তাঁকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত যথাসাধ্য সাহায্য করবে করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য। করোনা নিরাময়ে ভারত তথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন ট্রুডো। পরিবেশ বদল ও করোনাকালে বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে বলে ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে কানাডার তরফ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে দুটি অতিরিক্ত বিষয়ের উল্লেখ আছে। একটি হল ইন্দো-প্যাসিফিকে কি ভাবে আইনের শাসন বজায় রাখা যায়। আরেকটি হল যে হালে হওয়া প্রতিবাদ বিক্ষোভ নিয়ে কথা হয়েছে ও কিভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিবাদ মেটানো যায় সেই নিয়ে কথা হয়েছে। ইঙ্গিতটি যে কৃষক আন্দোলন নিয়ে সেটা বলাই বাহুল্য। এর আগেও ট্রুডো এই নিয়ে কথা বলেছেন, যদিও ভারত সেটাকে আমল দেয়নি। ভারত সাফ করে দিয়েছে যে এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
হালে করোনা মোকাবিলায় যথাসাধ্য টিকা জোগাড় করতে না পারায় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন ট্রুডো। নেটে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যে ট্রুডোর মন্ত্রী অনিতা আনন্দকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে ভারতের কাছ থেকে কি টিকা চাওয়া হয়েছে। তিনি নেতিবাচক উত্তর দেন সেটির। কানাডায় ইতিমধ্যেই ফাইজার ও মডার্নার টিকা আসছে, কিন্তু সেটা প্রয়োজনের থেকে অনেকটাই কম। অনিতা যদিও আশা করছেন যে মার্চের শেষের মধ্যে ৬০ লাখ ডোজ এসে যাবে। এখনও অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে ছাড়পত্র দেয়নি কানাডা। সেই ছাড়পত্র এলেই ভারতের প্রতিশ্রুতিমতো সেরাম ভ্যাকসিনের টিকা পাঠাবে বলে আশা করা যায়।