আবারও আকাশসীমায় এপার–ওপার এক হতে চলল। প্রায় আট মাস বন্ধ ছিল আকাশপথের যোগাযোগ। অবশেষে আগামী ২৮ অক্টোবর (দ্বাদশী) থেকে শুরু হচ্ছে ভারত–বাংলাদেশ বিমান চলাচল। সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে ২৮টি বিমান ভারত আসবে। একই সংখ্যক বিমান ভারত থেকে ঢাকায় যাবে। মহাঅষ্টমীর দিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস আবহে বাংলাদেশে পাঠরত ছাত্র–ছাত্রীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে মে মাসের প্রথম থেকে তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত কয়েকটি বিমান চলাচল করেছে। করোনার জেরে ভারতে–বাংলাদেশে আটকে পড়া দুই দেশের নাগরিকদের স্বদেশে ফিরতে হরিদাসপুর–বেনাপোল এবং আগরতলা–আখাউড়া স্থলসীমান্ত পথ খোলা ছিল। নবনিযুক্ত হাই কমিশনার আগরতলা–আখাউড়া স্থল সীমান্ত পথে বাংলাদেশে যান। দুই দেশের মধ্যে ‘এয়ার–বাবল’ ব্যবস্থায় চলাচলের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলছে দুই দেশের আকাশপথ।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস–বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভো এয়ার বিমান পরিচালনা করবে। আর ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারা এবং গো–এয়ার বিমান পরিষেবা শুরু করবে। ফলে সপ্তাহে ৫,০০০ বাংলাদেশি ভারত আসার সুযোগ পাবেন। ঢাকা–দিল্লি ও ঢাকা–কলকাতা, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা–চেন্নাই এবং নভো–এয়ার ঢাকা–কলকাতা রুটে বিমান চলাচল করবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ থেকে বিদেশিদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ভারত। সম্প্রতি পর্যটন ছাড়া ৯টি ক্যাটেগরিতে অনলাইনে বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন গ্রহণের ঘোষণা করেছে ভারত। বাংলাদেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রকের সিনিয়র সচিব মহম্মদ মহিবুল হক বলেন, ‘আপাতত তিন মাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিন মাস পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। এয়ার বাবল ব্যবস্থা অনুযায়ী বিমানগুলি শুধু বাংলাদেশ ও ভারতের এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্যে যাবে। যেহেতু প্রত্যেক যাত্রীকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে, তাই বিমানের ভিতরে আসন ব্যবস্থা আগের মতোই থাকবে।’