করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে ভারত–বাংলাদেশ যৌথভাবে অনন্য মডেল নিয়ে আসতে চলেছে। এই মহামারীকে রুখতে দুই দেশই পরস্পরকে চূড়ান্ত সহযোগিতা করে চলেছে বলে জানালেন ভারতের বিদেশসচিব হর্ষ শ্রিংলা। তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানেই তিনি জানান, মার্চ মাসে ঢাকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ৫০ বছর স্বাধীনতা দিবসের পূর্তি উৎসবে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। কথা হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও।
এই বিষয়ে ভারতের বিদেশসচিব বলেন, ‘ভারত–বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে আঞ্চলিক সহযোগিতার মডেল তৈরি করছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনেক বেশি মজবুত। করোনা–উত্তর সময়ে আমাদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে।’ মহামারীর মধ্যেও দুই দেশের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। এমনকী একাধিকবার মাস্ক, স্যানিটাইজার পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে। এখন করোনা ভ্যাকসিনও পাঠানো হয়েছে। সুতরাং সম্পর্ক আরও মজবুত হচ্ছে বলে খবর।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভারতের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিষয়ে শ্রিংলা জানান, গত বছর একাধিকবার ঢাকায় গিয়েছি। বারবার পারস্পরিক মতামত বিনিময় হয়েছে। তাই মোদী ঢাকা সফরের দিকে তাকিয়ে আছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বারবার ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মরণীয় উক্তি তুলে ধরেন। যা ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এই জয় শুধু আমাদের নয়। এই জয় পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম মেঘালয়ের মানুষেরও। কারণ তাঁদের সাহায্য ছাড়া এই জয় সম্ভব ছিল না। এই জয় সম্ভব ছিল না ভারত সরকার আমাদের পিছনে না দাঁড়ালে। যা তাঁরা করেছেন সে ঋণ কখনও শোধ করা যাবে না।’ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বোঝাতে বঙ্গবন্ধুর এই কথাগুলিই তুলে ধরেন শ্রিংলা।