ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হুসেনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। উল্লেখ্য, আগামী ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি ওমানের রাজধানী মাসকাটে আয়োজিত হবে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন। সেই সময়ই নাকি সম্মেলনের ফাঁকে তৌহিদ এবং জয়শংকরের বৈঠক হতে পারে। বাংলাদেশি সংবাদপত্র প্রথম আলোর রিপোর্ট উদ্ধৃ তকরে এমন দাবি করা হয়েছে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে। যদিও এই নিয়ে দিল্লির তরফ থেকে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে হারাতে চাঁদা দেওয়া ইউনুস এখন মার্কিন সাহায্যের জন্যে হা-হুতাশ করছেন!)
আরও পড়ুন: 'গোটা দেশের শিল্পের ২৪ শতাংশ একসময়ে ছিল পশ্চিমবঙ্গে, এখন তা...'
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাসিনা বিরোধীদের উস্কানিতে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত ৩২ নম্বর বাড়িটি। এখানেই থাকতেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথপ্রদর্শক শেখ মুজিবুর রহমান। এই বাড়িতেই হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে। আর সেই বাড়ি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল ভারত। তবে সেই বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের 'বদহজম' হয়েছিল। এই আবহে ভারতের মন্তব্যকে 'অপ্রত্যাশিত এবং অপ্রয়োজনীয়' আখ্যা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রফিকুল আলম। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জারি 'আওয়ামি নির্মূল অভিযান', ৪ দিনে ক'জন 'ডেভিল' ধরল ইউনুসের সরকার?)
আরও পড়ুন: সেনাকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ, রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের
বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ধ্বংসের ঘটনায় উলটে ভারতকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করে রফিকুল বলেছিলেন, 'আমরা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলি না। আমরা আশা করি, অন্য দেশও তেমনটা করবে না। আর যেমনকি সবাই জানে, ভারতে থাকাকালীন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় নানান রাজনৈতিক মন্তব্য করে চলেছেন। বাংলাদেশের মানুষ এটা ভালো চোখে দেখছে না।' (আরও পড়ুন: হাসিনা ইস্যুতে ভারতের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন,আশা না দেখলেও হাল না ছাড়া বার্তা ঢাকার)
আরও পড়ুন: 'জমি অদলবদলে' থামতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ? বড় ইঙ্গিত জেলেনস্কির
এর আগে ধানমন্ডি কাণ্ড প্রসঙ্গে দিল্লি বলেছিল, প্রতিবেশী দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে যারা মূল্য দেয়, তাদের জন্য এই ভবনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাড়ি ভাঙার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, 'এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করা উচিত। যারা বাঙালির আত্মপরিচয় ও গর্বকে লালন করে স্বাধীনতা সংগ্রামকে মূল্য দেন তারা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় এই বাসস্থানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন।' ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিকে 'দখলদারিত্ব ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক' হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। এই সবের মাঝেই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, তৌহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে জয়শংকরের।