ইউক্রেনের কিয়েভে সোমবার সকালে পর পর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। পর পর মিসাইল হামলা হয় বলে রাশিয়ার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ইউক্রেন। কিয়েভের দাবি, মস্কো জেনে বুঝে বেশি ক্ষতি সাধন করার জন্য ওই সময়কে বেছে নিয়েছে, আর '৭৫টি মিসাইল' আছড়ে ফেলেছে কিয়েবের বুকে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। দিল্লি সাফ জানিয়েছে, যুদ্ধের হিংসা নয় বরং আলোচনার রাস্তাতেই চলা উচিত।
এসসিও সামিটে পুতিনের মুখোমুখি হয়ে মোদী আগেও বলেছিলেন যে 'এই যুগ যুদ্ধের নয়।' যে বক্তব্যের নিরিখে দিল্লি তার কূটনীতি ধরে রেখেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার সদ্য শুরু হওয়া সংঘাত নিয়ে মুখ খুলেছে। দিল্লির তরফে বলা হয়েছে, ' নাগরিকদের মৃত্যু ও পরিকাঠামো ধ্বংস ঘিরে, ভারত ইউক্রেনে সংঘাতের বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বেগে।' ভারত জানিয়েছে, সংঘাতের উত্তেজনা বেড়ে যাওয়া কারোর হিতেই আসবে না। যুদ্ধ ও সংঘাতের রাস্তা ছেড়ে এক্ষুণি 'কূটনীতি ও আলোচনার রাস্তায়' আসা প্রয়োজন। উত্তেজনা প্রশমন সংক্রান্ত সমস্ত দিক থেকে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি একথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, সোমবার রুশ হামলার জেরে ইউক্রেনের কিয়েভে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১২ জন। এর আগে রাশিয়া অভিযোগ তোলে সেদেশের অধীনে থাকা ক্রিমিয়া ব্রিজ বিস্ফোরমে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। যে ঘটনাকে 'সন্ত্রাসী কাজ' বলে ব্যখ্যা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপরই নতুন করে সোমবার সকালে এমন ঘটনা ঘটে।
গণ্ডারকে ধাক্কা মেরে নিমেষে বেরিয়ে গেল ট্রাক! রুদ্ধশ্বাস দৃশ্যে কী দেখা গেল?
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে অরিন্দম বাগচি বলেন, যাতে রাষ্ট্রসংঘের চার্টার মেনে দুই দেশ চলে, আর তাছাড়াও 'আন্তর্জাতিক আইন সর্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা, ভূখণ্ডের ঐক্য' এর মধ্যেই বিশ্বের বিধি ও নীতি সুসজ্জিত রয়েছে। আর এই সংঘাতের শুরু থেকেই যে তা ভারত বলে এসেছে তা জানান দিয়েছে দিল্লি। এদিকে, শুধু যে পুতিনকে যুদ্ধের রাস্তা থেকে সরে আসার বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী তা নয়। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকেও যুদ্দের রাস্তা থেকে সরে আসতে বলেন। যদিও তার পরও সংঘাত মাথাচাড়া দিয়েছে দুই দেশের মধ্যে।