পাকিস্তানের কর্তারপুরে দরবার সাহিব গুরুদ্বারা পরিচালনার ভার শিখ প্রতিনিধিত্বহীন কমিটির উপরে ন্যস্ত করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দিল্লিতে পাক চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আফতাব হাসানকে ডেকে পাঠাল বিদেশ মন্ত্রক।
শনিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, ‘পাকিস্তান হাই কমিশন থেকে চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আফতাব হাসানকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে আমাদের তরফে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তাঁকে আরও জানানো হয়েছে যে, কর্তারপুর সাহিব করিডর নির্মাণের সদিচ্ছাকে ব্যাহত করেছে পাকিস্তানের এই একতরফা সিদ্ধান্ত এবং তার জেরে শিখ সম্প্রদায়ের আবেগে আঘাত করা হয়েছে।’
শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তানকে তার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে কারণ এতে শিখ সম্প্রদায়কে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’
গুরু নানকের জীবনের শেষ পর্ব অতিবাহনের কারণে পাকিস্তানের কর্তারপুর শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অতি পবিত্র। গত ৩ নভেম্বর সেখানকার দরবার সাহিব গুরুদ্বারা পরিচালনার ভার দেশের সংখ্যালঘু ধর্মস্থানের দায়িত্বে থাকা ইটিপিবি-র অধীনস্থ নতুন প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে ন্যস্ত করে পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রক।
এর আগে দরবার সাহিব গুরুদ্বারা পরিচালনার ভার ছিল পাকিস্তান শিখ গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির উপরে। নতুন কমিটিতে কোনও শিখ প্রতিনিধি রাখা হয়নি। পুরনো কমিটির উপরে রয়েছে শুধুমাত্র গুরুদ্বারায় অনুষ্ঠান পরিচালনার ভার। এই সিদ্ধান্ত গোড়া থেকে মেনে নেয়নি দিল্লি।
গত বৃহস্পতিবার এই নিয়ে ভারতের অবস্থানকে ‘উদ্দেশ্যমূলক প্রচার’ বলে বর্ণনা করে ইসলামাবাদ। বলা হয়, গুরুদ্বারায় অনুষ্ঠান পরিচালনার ভার পুরনো কমিটির উপরেই থাকছে এবং নতুন কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাকে সাহায্য করার উদ্দেশে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে একবছর আগে পঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানকের সঙ্গে পাকিস্তানের কর্তারপুরে দরবার সাহিব গুরুদ্বারা সংযুক্তকারী ৪.৭ কিমি দীর্ঘ করিডর নির্মাণ করে ভারত ও পাকিস্তান। এ পথে যেতে তীর্থযাত্রীদের ভিসার প্রয়োজন পড়ে না।
কোভিড সংক্রমণের জেরে গত মার্চ মাসে ভারতীয় অংশের করিডর বন্ধ রাখা হয়। এখনও সে পথ চালু হয়নি।