অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে সংঘাতে জড়াল ভারতীয় এবং চিনা বাহিনী। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বরের সেই ঘটনায় দু'পক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়েছেন। সূত্র উদ্ধৃত করে জানাল সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সংঘাতের ঘটনায় ভারচীয় জওয়ানের থেকে অনেক বেশি সংখ্যক চিনা সৈন্য আহত হয়েছে।
বিবৃতি জারি করে তেজপুরের প্রতিরক্ষা বিষয়ক জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি বা চিনা সেনা। 'দৃঢ়ভাবে' পালটা জবাব দিয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ানরা। সেই মুখোমুখি সংঘাতের জেরে দু'পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। অবিলম্বে দু'পক্ষই ওই এলাকা থেকে পিছু হটে গিয়েছে।
ওই সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে যে চিনের বাহিনীকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। প্রায় ৩০০ সৈন্যকে নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে এসেছিল চিন। কিন্তু তাতেও সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওই সংঘাতে যতজন ভারতীয় জওয়ান আহত হয়েছেন, তার থেকে অনেক বেশি চিনা আহত হয়েছে। চিনা সেনা ভাবতেই পারেনি যে ভারত এরকমভাবে প্রস্তুত থাকবে।
আরও পড়ুন: India-US Army: ভারত-আমেরিকার যৌথ মহড়ায় চিনের আপত্তি! পাত্তাই দিলেন না মার্কিন কূটনীতিবিদ
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সংঘাতের ঘটনার পর শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওই এলাকার ভারতের কমান্ডার। সেইসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (ভারত-চিন সীমান্ত) বরাবর একাধিক জায়গা নিয়ে ভিন্ন মত আছে। ওই দুই দেশই নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত টহল দেয়। যে রীতি ২০০৬ সাল থেকেই চলে আসছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে'তে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়েছিল ভারত এবং চিন। তারপর ১৪ জুন/১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ হয়েছিল। যে ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ানের। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গালওয়ান সীমান্তে চিনের মৃত্যুর সংখ্যাটা আরও বেশি হয়েছিল। পরবর্তীতে একাধিকবার কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের পর একাধিক সংঘাতপূর্ণ জায়গা থেকে পিছু হটেছে ভারত এবং চিন। তবে সব জায়গায় এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।