দ্বিতীয় দফার মতো এবারও প্রায় ১১ ঘণ্টা চলল কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক। সরকারের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন সংঘাতের এলাকা থেকে সেনা সরানোর চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরির উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় কীভাবে উত্তেজনা প্রশমিত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের 'নয়া দাবি' নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় প্রতিনিধিদল। একইসঙ্গে সীমান্তে পূর্বাবস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো লেক-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চিনা সেনা সরানোর দাবিও জানানো হয়েছে।
চুশুলের বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন লেহ'র ১৪ কোর কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। চিনের তরফে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ শিনজিয়াং সামরিক অঞ্চলের কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন।
সূত্রের খবর, সকাল ১১ টা থেকে যে বৈঠক শুরু হয়েছিল, তা রাত ন'টা পার করেও চলেছে। সেই ম্যারাথন বৈঠকে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয় সামলানোর ক্ষেত্রে যে সব চুক্তি রয়েছে, কঠোরভাবে সেগুলি মেনে চলার পক্ষে সওয়াল করে ভারত। একইসঙ্গে বৈঠকে দু'পক্ষের মধ্যে আস্থা গড়ে ওঠার উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়। তবে বৈঠক নিয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
এর আগেও দু'দেশের দুটি কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। প্রথম বৈঠকটি গত ৬ জুন মলডোতে হয়েছিল। সেখানে দু'দেশ সেনা সরানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত মতো সেনা হটিয়ে নেয়নি চিনা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দু'দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় ২২ জুন আবারও বৈঠকে বসেন লেফটেন্যন্ট জেনারেল হরিন্দর সিং এবং চিনের কম্যান্ডার। প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। সেখানেও ‘পারস্পরিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে সেনা সরানো’-র বিষয়ে একমত হয় দু'পক্ষ।