ভারতীয় ও চিনের কূটনীতিবিদদের মধ্যে এদিন ফের এক রাউন্ড আলোচনা হল সীমান্ত সমস্যা নিরসনের জন্য। কিন্তু কাজের কাজ তেমন কিছু হয় নি। আগের সামরিক স্তরের বৈঠকে সীমান্তে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার যে কথা হয়, সেটা রক্ষা করতে দুই পক্ষ অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানানো হয়েছে।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে Working Mechanism for Consultation and Coordination (WMCC) বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে খোলাখুলি ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কূটনৈতিক স্তরে দুই দেশের শেষ বৈঠক ছিল অগস্টের ২০ তারিখ।
২১ সেপ্টেম্বরে সামরিক স্তরে যে আলোচনা হয়েছে, সেটি নিয়ে এদিনের বৈঠকে পর্যালোচনা হয় বলে জানিয়েছে দুই পক্ষ। সিনিয়র কম্যান্ডাররা যেসব পদক্ষেপের কথা বলেছেন সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য, সেগুলিকে মেনে চলার কথা বলা হয় এদিনের বৈঠকে। তৃণমূল স্তরে যারা নেতৃত্বে আছেন, তাদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার গুরুত্বের কথাও বলা হয়েছে।
গত সামরিক বৈঠকে অতিরিক্ত সেনা সামনে পাঠাবে না দুই পক্ষ ও একতরফা ভাবে কোনও জায়গা দখল করবে না, সেই বিষয়ে একমত হয় ভারত-চিন।
সূত্রের খবর দুই পক্ষই এই বিষয়ে জোর দেয় যে এটা নিশ্চিত করতে হবে ফের যেন ঝামেলা না শুরু হয় সীমান্তে। প্রসঙ্গত ১৫জুন গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই মাসের শুরুতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলি চলেছে প্রায় চার দশক বাদে। দুপক্ষই সীমান্তের দুইপক্ষে প্রায় ৫০ হাজার সেনা জমায়েত করে রেখেছে যারা কড়া শীতেও থাকবে সেখানে।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফ বলা হয়েছে যে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে মস্কোয় যে পাঁচটি বিষয় একমত হয়েছিল, সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। সীমান্তে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার উদ্দেশ্যেই এই বৈঠকে কথা হয় বলে জানিয়েছে বেজিং।
দ্রুত যাতে সামরিক স্তরে ফের বৈঠক হয় যাতে দুই পক্ষের সেনা একে অপরের সামনে থেকে দূরে চলে যায় সেই নিয়েও এদিনের বৈঠকে একমত হয় ভারত-চিন। লাদাখে সমস্যা শুরু হওয়ার পর এই নিয়া সাতবার কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হল দুই পক্ষের মধ্যে।
চলতি সপ্তাহেই চিন বলেছে যে তারা ১৯৫৯ সালের এলএসি মেনে চলছে। সেটি খারিজ করে ভারত বলেছে তারা কখনোই চিনের দ্বারা একতরফা ভাবে নির্মিত এলএসি মানে নি ও সেটা সবাই জানে। অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে লাদাখ কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল তৈরী করাকে চিন স্বীকৃতি দেয় নি বলে জানায় বেজিং। সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিভেদ কমছে। এখন শুধু অশান্তি এড়ানোর চেষ্টা।