ভারত ও চিনের মধ্যে চুশূলে দশ ঘণ্টার ওপর চলল কোর কম্যান্ডারদের বৈঠক। ১৪ কোরের কম্যান্ডার হরিন্দর সিং ভারতীয় পক্ষের নেতৃত্ব করেন। লম্বা বৈঠকে বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। প্যাংগং সো ও ডেপসাং থেকে যাতে দ্রুত চিনা সেনা সরে তার জন্য চাপ দেয় ভারত।
গত কোর কম্যান্ডার বৈঠকে আলোচনা করা রূপরেখা অনুযায়ী প্রথম ধাপে সেনা সরিয়েছে ভারত ও চিন। কিন্তু এখনও প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার অঞ্চলে ও ডেপসাং এলাকায় জমি দখল করে আছে চিন। এরা যাতে দ্রুত সরে সেই নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।
একই সঙ্গে ফরওয়ার্ড বেসগুলিতে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র কমানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৪, ১৫ ও ১৭ থেকে সরে গিয়েছে চিন। একই ভাবে পিছিয়েছে ভারত। তিন থেকে চার কিলোমিটারের একটি বাফার জোন তৈরী হয়েছে।
ভারত চায় মে ৫-এর আগে লাদাখে যে পরিস্থিতি ছিল, সেটা ফির আসুক। সেনা সরানোর দ্বিতীয় ধাপ কবে থেকে শুরু করা যায়, সেটা নিয়েই মূলত এই দিনের বৈঠকে কথা হয়। ৩০ জুনের ১২ ঘণ্টার বৈঠকের পর যেভাবে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে সেভাবে এদিনের বৈঠকের পরেও আরও কিছুটা সমস্যা নিরসনের পথে এগোবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৫ জুন গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০জন ভারতীয় ও অজানা সংখ্যক চিনা সেনা মারা যান। প্রধানমন্ত্রী নিজে পরে গিয়ে আহত সেনাদের সঙ্গে দেখা করে আসেন ও চিনের নাম না নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন পড়শি দেশকে।