বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনেক প্রভাব দেখাই যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল দাবানল থেকে চিনের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। বছরের পর বছর দূষণের ফল এখন টের পাচ্ছে বিশ্ব। তারই মধ্যে আশঙ্কার কথা জানালেন গবেষকরা। 'জলবায়ু পরিবর্তনে ভারত এবং চিনের ঝুঁকি বেশি,' উল্লেখ গবেষণায়।
নটরড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক এক গবেষণায় এমনটা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'যেখানে বিষাক্ত দূষণের সবচেয়ে বেশি সেখানেই দূষণের ফলে মৃত্যুর পরিমাণ সর্বাধিক হবে। আবার সেই একই স্থানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।' এই গবেষণায় আলাদা করে ভারতের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
'জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের প্রভাব, দুটি ক্ষেত্রেই বিপদগুলি অত্যন্ত পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। এতে অবাক হওয়ার মতো কিছুই নেই। তবে এই গবেষণা তথ্য এবং বিশ্লেষণধর্মী। ফলে এটি আমাদের এ বিষয়ে নীতি গ্রহণ করতে সাহায্য করবে,' জানান রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক ডেবরা জ্যাভলিন।
বিভিন্ন রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের অধ্যয়নের সুবিধার জন্য এই রিপোর্টের লেখকরা 'টার্গেট' ভিত্তিতে পরপর ১৭৭টি দেশকে সাজিয়েছেন। এই টার্গেট হল একটি দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকি, বিষাক্ত দূষণের ঝুঁকি এবং বর্তমানে সেগুলি রোধে দেশের উদ্যোগের গড়।
এই মানদণ্ডের ভিত্তিতে সমীক্ষায় সিঙ্গাপুর, রুয়ান্ডা, চিন, ভারত, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ভুটান, বোতসওয়ানা, জর্জিয়া, কোরিয়া এবং থাইল্যান্ডকে শীর্ষ দশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রিন হাউজ গ্যাস উত্পাদক হিসাবে চিনের উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরেই রাখা হয়েছে ভারতকে।