জেনেভা ভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের একটি রিপোর্ট অনুসারে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির কারণে ২০২২ সালে ভারত ‘বিশ্ব উদ্ভাবনী সূচক’ বা ‘গ্লোবাল ইনোভেশন ইন্ডেক্সে’ ৬ ধাপ উপরে উঠে ৪০তম স্থানে এল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের উচ্চ মধ্য-আয়ের গোষ্ঠীর উদ্ভাবনী কর্মক্ষমতা পরিকাঠামো বাদে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই গড়ের চেয়ে উপরে। শুধুমাত্র পরিকাঠামো খাতে এটি গড়ের চেয়ে কম।
এই প্রথমবার ভারত এই তলিকায় প্রথম ৪০-এ প্রবেশ করল। ভিয়েতনামকে (৪৮তম স্থানে) পিছনে ফেলায় ‘নিম্ন মধ্যম আয়’ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে ভারত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মধ্য আয়ভুক্ত’ দেশগুলির মধ্যে চিন এবং তুরস্ক উদ্ভাবনী সূচকে দুর্দান্ত ভাবে এগিয়ে চলেছে। তাছাড়া ইরানও এই তালিকায় এগিয়ে চলেছে। এই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে সুইৎজারল্যান্ড। এর পরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডস। চিন এই তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছে।
এদিকে ২০১৫ সালে ভারত এই তালিকায় ৮১তম স্থানে ছিল। একবছর আগেও ভারত ৪৬তম স্থানে ছিল। তবে এবছর ভারত ৪০তম স্থান অর্জন করেছে। এর ফলে মধ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে এখন শীর্ষ স্থানে রয়েছে ভারত। র্যাঙ্কিং সম্পর্কে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন যে ‘ভারত এমন উদ্ভাবন করছে যা আগে কখনও হয়নি।’ এদিকে টুইট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলিধরন এর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে শ্রেয় দেন। তিনি লেখেন, ‘ভারত ইতিহাস গড়েছে। মাত্র ৭ বছরে বিশ্ব উদ্বাভনী সূচকে ভারত ৪১ ধাপ এগিয়েছে। ২০১৫ সালের ৮১তম স্থান থেকে ভারত ২০২২ সালে ৪০তম স্থানে আসতে পেরেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৈরি করা স্টার্টআফ ইকোসিস্টেমের কারণে।’