সৌদি আরবের নয়া নোটে ভারতের মানচিত্র থেকে উধাও জম্মু–কাশ্মীর, দ্রুত সংশোধনের দাবি

২১ ও ২২ নভেম্বর সৌদিতে ভার্চুয়াল জি–২০ সম্মেলন হতে চলেছে। সে উপলক্ষে ২৪ অক্টোবর বিতর্কিত ২০ রিয়ালের এই ব্যাঙ্ক নোট প্রকাশ করে সৌদি আরাবিয়ান মনিটারি অথোরিটি।

সেই বিতর্কিত নোট

রেজাউল এইচ লস্কর

সৌদি আরবের নতুন ব্যাঙ্ক নোট দেখে বৃহস্পতিবার সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের কাছে ‘‌গভীর উদ্বেগ’‌ প্রকাশ করল ভারত। কিন্তু কেন?‌ কারণ, ওই নোটে যে মানচিত্র ছাপা হয়েছে তাতে জম্মু–কাশ্মীর এবং লাদাখকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখানো হয়েছে। যা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ভারতের বিদেশমন্ত্রক। উল্লেখ্য, সম্প্রতি টুইটারে সরাসরি সংবাদ সম্প্রচারের সময় লেহ–কে চীনের অংশ হিসেবে দেখানো হয়। এই ঘটনা সেই একই বিতর্ককে আরও কিছুটা উস্কে দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

২১ ও ২২ নভেম্বর সৌদিতে ভার্চুয়াল জি–২০ সম্মেলন হতে চলেছে। সে উপলক্ষে ২৪ অক্টোবর বিতর্কিত ২০ রিয়ালের এই ব্যাঙ্ক নোট প্রকাশ করে সৌদি আরাবিয়ান মনিটারি অথোরিটি। নোটের একদিকে সৌদি আরবের রাজা সলমন বিন আবদুল্লাজিজ আল সৌদের ছবি এবং ২০২০ সালের জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতীক রয়েছে। আর অন্যদিকে রয়েছে জি–২০ সদস্য দেশগুলির ছবি। তাতেই বিকৃতভাবে ছাপা হয়েছে ভারতীয় মানচিত্র, যেখান থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে জম্মু–কাশ্মীর এবং লাদাখকে।

এ ব্যাপারে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘‌আমরা নোটটি দেখেছি। ওতে ভারতের বাহ্যিক অঞ্চলের সীমানাগুলির একটি ভুল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা দিল্লি ও রিয়াদে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ওই দেশের কাছে এ নিয়ে আমাদের গুরুতর উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছি। জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করে সৌদি যেন এই ভুল দ্রুত সংশোধন করে ফেলে। কারণ, জম্মু–কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।’‌

বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিযোগ জানানোর পরও সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তারা এই সমস্যাটি কীভাবে সামলাবে সে ব্যাপারেও এখনও কিছু জানা যায়নি। ভারত আশাবাদী যে জি–২০ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই এই ভ্রান্তি দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে সৌদি আরব।

উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদ–বিরোধী নীতি–সহ বিভিন্ন দিক থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে প্রথম খেকেই চেষ্টা করে আসছে মোদী সরকার। অন্যদিকে, ইসলামাবাদকে রিয়াদ আর্থিক সাহায্য করা বন্ধ করার পর থেকে পাকিস্তান ও সৌদির বরাবরের সুসম্পর্কে সম্প্রতি অবনতি ঘটেছে। তুরস্ক ও মালয়েশিয়া–সহ মুসলিম দেশগুলির একটি নতুন ব্লক তৈরি করার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। যদিও সে ব্যাপারে তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি তারা।