ভারতে প্রথম দু'লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১২৫ দিন। আর পরের দু'লাখ করোনাভাইরাস আক্রান্তের হদিশ মিলল মাত্র ১৮ দিনে। তা থেকেই স্পষ্ট আনলক পর্যায় শুরুর পর তিন সপ্তাহ গড়িয়ে যাওয়ার পর ভারতে করোনা চিত্রটা কতটা সঙ্গীন।
শনিবার সন্ধ্যায় বেসরকারিভাবে করোনার আরও এক উদ্বেগজনক মাইলস্টোন পার করেছিল ভারত। সরকারিভাবে রবিবার সকাল আটটায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, দেশে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আপাতত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১০,৪৬১। এই ১৮ দিনে সংক্রমণের গতি যে কমেছে, তাও নয়। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫,৪১৩ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের নিরিখে রেকর্ড।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। তারপর গত ৩ জুন আক্রান্তের সংখ্যা দু'লাখের গণ্ডি পেরিয়েছিল। সেটা ছিল আনলক ১-এর তৃতীয় দিন। সেদিন পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২০৭,৬১৫। পরবর্তী ১৮ দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০২,৮৪৬। আর গত আট দিনে নয়া আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখের বেশি। তার মধ্যে হাতেগোনা দু'একদিন বাদে রোজই দৈনিক সংক্রমিতের রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
শুধু যে আক্রান্তের সংখ্যা হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে, তা নয়। মৃত্যুও ক্রমশ বেড়েছে। ওই ১৮ দিনে ভারতে করোনায় আরও ৭,৪৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আপাতত রবিবার সকাল মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,২৫৪। তার মধ্যে গত ১৬ জুন সকাল থেকে ১৭ জুন আটটা পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছিল ২,০০৩। কেন্দ্রের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছিল, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে মৃতের সংখ্যায় ভ্রান্তি ছিল, তাই একদিনে মৃতের সংখ্যা এতটা বেড়েছে। পরে অবশ্য দৈনন্দিন মৃতের সংখ্যাটা মোটামুটি ৪০০-র কাছাকাছি ঘোরাফেরা করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতের সংখ্যা খানিকটা কম - ৩০৬।
তবে ওই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠার রোগী সংখ্যা বেড়েছে। ভারতে আপাতত সুস্থ করোনা রোগীর সংখ্যা ২২৭,৭৫৫। অর্থাৎ সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫.৪৮ শতাংশ। পাশাপাশি সক্রিয় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ করোনা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। যা একমাত্র এই উদ্বেগের পরিবেশ কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে।