বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Developing Arunachal's border villages: সামরিক ‘অ্যাকশন’ নয়, পর্যটকরাই কাবু করবেন চিনকে! অরুণাচলে মাস্টার প্ল্যান ভারতের

Developing Arunachal's border villages: সামরিক ‘অ্যাকশন’ নয়, পর্যটকরাই কাবু করবেন চিনকে! অরুণাচলে মাস্টার প্ল্যান ভারতের

অরুণাচল প্রদেশ সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অরুণাচলের সীমান্তবর্তী গ্রামে তৈরি হয়েছে হোমস্টে। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই এবং এএনআই)

পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অরুণাচল প্রদেশের একাধিক সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত গ্রামে উন্নয়নমূলক কাজ চালাচ্ছে সরকার। যে গ্রামগুলি ভারত-চিন সীমান্তের কাছেই অবস্থিত। চিন সীমান্ত লাগোয়া অরুণাচলের গ্রামগুলিতে হোমস্টে, ট্রেকিংয়ের ক্যাম্পের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

নীরজ চৌহান

কোনও সামরিক 'অ্যাকশন' নয়, বরং পর্যটন অস্ত্রেই চিনকে মাত দিতে চাইছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কাছে চিন যে তথাকথিত 'মডেল গ্রাম' (সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ওগুলো স্রেফ নামেই গ্রাম, আদতে ওখানে মূলত চিনা সেনা ও নির্মাণকর্মীরা থাকে) গড়ে তুলেছে, সেটার পালটা হিসেবে সামরিক ও অসামরিক উদ্যোগে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অরুণাচল প্রদেশের একাধিক গ্রামে উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেই পদক্ষেপের মাধ্যমে যেমন স্থানীয় গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা, কর্মসংস্থান বাড়বে, কাজের জন্য দেশের অন্য প্রান্তে যাওয়ার প্রবণতা কমবে, তেমনই সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের হাত আরও মজবুত করবে। যে অরুণাচল সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে ভারতের।

নাম গোপন রাখার শর্তে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চিন সীমান্ত লাগোয়া অরুণাচলের গ্রামগুলিতে হোমস্টে, ট্রেকিংয়ের ক্যাম্প, ক্যাম্পিংয়ের জায়গা, অ্যাডভেঞ্চার্স স্পোর্টস, ধর্মীয় যাত্রার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চিনের সীমান্তের প্রথম গ্রাম কাহো, কিবিথু এবং মেশাইয়ে হোমস্টে, ক্যাম্পিংয়ের জায়গা, জিপ-লাইন এবং ট্রেকিং রুট তৈরি করা হয়েছে। অঞ্জা জেলার যে জায়গাগুলিতে মিশমি এবং মেয়র উপজাতির মানুষরা বসবাস করেন, সেগুলিকেও পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: অরুণাচলের একাধিক জায়গার নামকরণ করছে বেজিং, আকসাই চিন নিয়ে কী করা উচিত ভারতের?

শুধু তাই নয়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন আধিকারিকর জানিয়েছেন, অরুণাচলের যে সব জায়গায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছিল, সেগুলিকেও পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে অরুণাচলের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় (যেগুলিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে) যাতে সহজেই পৌঁছানো যায়, সেজন্য ওয়ালঙে হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য বাণিজ্যিক হেলিপ্যাড তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার ফলে অসমের ডিব্রুগড় থেকে সহজেই পর্যটকরা অরুণাচলের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যেতে পারবেন। যে রাজ্যের ১,১২৯ কিলোমিটার অংশে ভারত-চিনের আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে।

আরও পড়ুন: Amit Shah: 'আমাদের জমি কেউ নিতে পারবে না', চিনের তেজের মাঝে অরুণাচলের মাটিতে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি শাহের

বিষয়টি নিয়ে 'হিন্দুস্তান টাইমস'-কে অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু বলেছেন, 'রাফটিং, প্যারাগ্লাইডিং, গাড়ি ও বাইকের র‌্যালি-সহ অন্যান্য অ্যাডভেঞ্চার্স স্পোর্টসের জন্য আমরা অনেক যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। অবিশ্বাস্য পাহাড় থেকে নৈসর্গ উপত্যকা - (অরুণাচল প্রদেশে) অনেক কিছু আবিষ্কারের সুযোগ আছে মানুষের কাছে। সীমান্ত লাগোয়া প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে জোরকদমে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। সড়কপথে যোগাযোগের জন্যও কাজ চলছে। ট্রেকিংয়ের রুট এখন খুলে দেওয়া হয়েছে। ওই গ্রামগুলিতে যে কাজ চলছে, তা নজরদারি চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।'

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

বন্ধ করুন