ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোকে নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছে নয়াদিল্লি। এখনও পর্যন্ত যতটুকু জানা গিয়েছে, সেই অনুসারে - আসন্ন সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তিনিই হতে চলেছেন ভারতের প্রধান অতিথি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই ২৬ জানুয়ারির (২০২৫) অনুষ্ঠানে সুবিয়ান্তোকে প্রধান অতিথি করে আনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হতে পারে। কিন্তু, তার আগেই ভারতের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান।
শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি ভারতে আগামী ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরই সরাসরি উড়ে যাবেন পড়শি পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে!
তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, এটা মোটেই কোনও কাজের কথা নয়। ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া প্রধান অতিথি সোজা বিমানে চড়ে পাকিস্তানে গিয়ে ল্যান্ড করবেন, সেটা একেবারেই ভালো দেখায় না।
তাই ভারত চেষ্টা করছে, যাতে এবারের সফরে অন্তত ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানকে জুড়ে না দেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারতের আধিকারিক স্তরে শোনা যাচ্ছে, এবারের ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে সুবিয়ান্তোই প্রধান অতিথি হতে চলেছেন। অথচ, এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সরকারি বা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। সাধারণত, এই ধরনের ঘোষণা কয়েক মাস আগেই করে দেওয়া হয়।
একদিকে যখন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হওয়ার ঘোষণা নিয়ে টালবাহানা চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশ্যে আসে।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, আগামী ২৬ জানুয়ারিই সেদেশের পৌঁছবেন সুবিয়ান্তো। থাকবেন তিনদিন। বিষয়টি নিয়ে ভারত যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ইদানীংকালে ভারত চেষ্টা করে যাতে এদেশে সফরে আসা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান সফর না করেন। ভারত-পাক সাম্প্রতিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতেই এমনটা করা হয় বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
সূত্রের দাবি, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক মহলের মারফত ইন্দোনেশিয়াকে বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। এখন দেখার, ইন্দোনেশিয়া শেষমেশ কী সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে মিশরে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন সুবিয়ান্তো।
অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্ক দীর্ঘ সময় ধরেই যথেষ্ট ভালো। তাছাড়া, এশীয় অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াই ভারতের সবথেকে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী।
এর আগে ২০১৬ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন ইন্দোনেশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। সেই সময় ভারত ও ইন্দোনেশিয়া, দুই দেশই নিরাপত্তা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করতে সহমত হয়েছিল।