বড়সড় একটি চুক্তি ঘিরে সাফল্যের মুখ দেখল ভারত। ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের ১৬৪ সদস্য অনুমোদন দিয়েছে কিছু সাময়িক ও সীমিত পেটেন্ট (সত্ত্ব) মুকুব নিয়ে। এই চুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন, খাদ্য সংকট ঘিরে আপৎকালীন তৎপরতা, মৎস শিকারের আধিক্য রোখা সহ একাধিক ক্ষেত্রে এসেছে এই চুক্তি।
এই হাইভোল্টেজ চুক্তি সম্পর্কে বুধবারই কিছু তথ্য উঠে আসবে আশা করা হয়েছিল। তবে তা শুক্রবার উঠে আসে। উল্লেখ্য, যেখানে দেশগুলি দ্বিপক্ষিক চুক্তির দিকেই বেশি ঝুঁকে থাকে সেখানে সেখানে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মঞ্চে ভারতের এই পর পর চুক্তি সফল করার প্রয়াস নিঃসন্দেহে বড় ঘটনা ছিল। ভারতের বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল বহু আগে থেকেই এই চুক্তি সম্পর্কে আশাবাদী ছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন আগেই যে, বহু বছর ধরে ভারত যে সমস্ত চুক্তি ঘিরে আশা করেছিল, সেই সমস্ত চুক্তি এবার পূর্ণতা পেতে চলেছে। তিনি বলেন, ' এমন কোনও কারণ নেই যে একটি বিশেষ চিন্তা নিয়ে দেশে ফিরতে হবে।'
উল্লেখ্য, ভারত সহ বিভিন্ন উন্নয়নশীলদেশগুলি এই বাণিজ্য আঙিনায় বারবার ই কমার্স সেক্টরে আবগারী শুল্কে মোরাটোরিয়াম নিয়ে সরব হয়েছে। উল্লেখ্য, এই সভা থেকে উঠে আসাপেটেন্ট মুকুব সংক্রান্ত পদক্ষেপ কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে বহু সুবিধা তৈরি করে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বৈঠকে 'ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি' সংক্রান্ত অধিকার মুকুব নিয়ে ভারত সরব হলেও তার দাবি সেভাবে আমল পায়নি। তবে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, অতিমারীর নিরিখে বাণিজ্য বিষয়ে বাধা কমিয়ে ফেলতে দেশ তৎপর। পীযূষ গোয়াল এও জানিয়েছেন যে, আইপি মুকুবের জন্যও দেশ সচেষ্ট হয়েছে। Assochaএর সেক্রেটারি জেনারেল দীপক সুদের মতে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির পেটেন্ট (সত্ত্ব) মুকুব ও মৎস শিকার সংক্রান্ত চুক্তিতে শুধু ভারতই নয়, আফ্রিকার নানান দেশ উপকৃত। ফলে এই সিদ্ধান্তে সার্বিক উন্নতি রয়েছে।