২০১৯ সালে গণতন্ত্র সূচকে দশ ধাপ পিছোল ভারত। বিভিন্ন বিষয়ে নাগরিকদের অধিকার খর্ব হয়েছে, এই কারণ দেখিয়েই ভারতের গ্রেড কমিয়ে দিয়েছে সূচক প্রস্তুতকারী সংস্থা ইকনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট।
সারা বিশ্বে ১৬৫ দেশে এই সমীক্ষা চালিয়েছে তারা। নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সরকারের কার্যকলাপ, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সংস্কৃতি এবং নাগরিকদের অধিকারের ওপর ভিত্তি করে সূচক তৈরী করা হয়।০-১০ এর স্কেলে রেটিং দেওয়া হয়। ২০১৮ তে ৭.২৩ থেকে কমে গত বছর ৬.৯০ তে চলে গিয়েছে ভারতের গণতন্ত্র, সমীক্ষকদের হিসাবে।
তালিকায় শীর্ষে নরওয়ে (৯.৮৭), সবচেয়ে নিচে উত্তর কোরিয়া (১.০৮)। ২.২৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৫৩ স্থানে রয়েছে চিন।
ভারতের পতনের মূলে রয়েছে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি, অসমে এনআরসি। যেভাবে কাশ্মীরে কড়াকড়ি করা হয়েছে, তাতে নাগরিকদরে অধিকার খর্ব হয়েছে বলেই সমীক্ষায় প্রকাশ। অসমে যে ১৯ লক্ষ নাম কাটা গিয়েছে, তার অধিকাংশই মুসলিম বলে সমীক্ষকদের দাবি। সিএএ নিয়ে যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে, সেটিকেও নিজেদের হিসাবের মধ্যে রেখেছেন সমীক্ষকরা। সব মিলিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য আগের থেকে খারাপ হয়েছে, এমনই অভিমত সমীক্ষকদের।