মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। একই সঙ্গে অং সান সু চি কে আটক করা নিয়েও অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে চলতে দেওয়া ও আইনের শাসন অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে মোদী সরকার।
এদিন মায়ানমারে সেনা রাজধানীর দখল নিয়েছে। সু চি ছাড়াও শাসক ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেতাদের আটক করা হয়েছে। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এক বছরের জন্য সামরিক শাসন জারি করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। আজ থেকেই ভোটের পর সংসদ চালু হওয়ার কথা ছিল।
এদিন বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে তারা মায়ানমারের পরিস্থিতির দিকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নজর রাখছেন। মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরার প্রক্রিয়াকে সবসময় ভারত সমর্থন করেছে বলে জানায় মন্ত্রক। সেই জন্য আইনের শাসন ও গণতন্ত্র ফেরার প্রক্রিয়াকে বজায় রাখা দরকার, বলে জানায় বিদেশমন্ত্রক।
মায়ানমারের সামরিক ও অসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে জটিল সম্পর্ক আছে ভারতের। গত অক্টোবরে যখন বিদেশসচিব হর্ষ শ্রিংলা মায়ানমারে যান, তখন তাঁর সঙ্গে ছিল সেনাপ্রধান নারাভানে। ভারত যেমন গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে সমর্থন করেছেন, তেমনই সামরিক শক্তির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছে নয়াদিল্লি। মূলত উত্তরপূর্ব ভারতের নিরাপত্তার জন্যই এই কৌশল অবলম্বন করেছে ভারত। বেশ কিছু জঙ্গিগোষ্ঠী মায়ানমার থেকে অপারেশন চালায়। তাদের নির্মূল করার জন্য মায়ানমার সেনার সঙ্গে একযোগে কাজ করে ভারত। একই সঙ্গে চিনের প্রভাবকে রোখার জন্যও মায়ানমারের সেনা কার্যকরী বলে মনে করে ভারত। সেই জন্যেই রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়েও খুব সরব হয়নি ভারত।