চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে সাত শতাংশ। পূর্বাভাস দিল কেন্দ্রীয় সরকার। যে পূর্বাভাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেটের আগে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমতে চলেছে স্বীকার করে নিল কেন্দ্র। গত অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বেড়েছিল ৮.৭ শতাংশ হারে।
জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তরফে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে গত আর্থিক বছরের তুলনায় জিডিপি বৃদ্ধির হার কমলেও বিশ্বের সব বড় অর্থনীতির থেকে ভালো জায়গায় আছে ভারত। বিশ্বের তাবড়-তাবড় অর্থনীতির দেশগুলিতে যে হারে আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, প্রাথমিক পূর্বাভাসে তার তুলনায় ভারত এগিয়ে আছে।
এমনিতে করোনাভাইরাসের সময় পুরো বিশ্বের মতো ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। মহামারীর সেই কালো অধ্যায় কাটিয়ে ভালো ছন্দে ফিরে এসেছিল ভারতের অর্থনীতি। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে ফের ধাক্কা লাগে। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে যে ঝিমুনি এসেছে, তার প্রভাব পড়েছে ভারতের উপরও।
আরও পড়ুন: সর্বদা মিলিয়েছেন মন্দার পূর্বাভাস, সেই অর্থনীতিবিদ কী বলছেন ২০২৩ নিয়ে?
তা সত্ত্বেও ভারতের অবস্থা অনেক ভালো আছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) ডেপুটি ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর। যে আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বছরে ৬.১ শতাংশ হারে বাড়বে ভারতের জিডিপি। যা ২০২২ সালের থেকে কম হতে চলেছে। ওই বছর ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Capital Gains Tax: আসন্ন বাজেটে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে কর কাঠামোয়
আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানান, কাঠামোগত সংস্কারের প্রতি যে সহনশীলতা এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে যে পদক্ষেপ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার, তাতে ভারতের অর্থনীতি অনেকটা ভালো জায়গায় আছে। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত উজ্জ্বল জায়গায় আছে। বাকিদের গড়ের তুলনায় উল্লেখ্যজনকভাবে আর্থিক বৃদ্ধি হচ্ছে।'
কোন ক্ষেত্রে আর্থিক বৃদ্ধির হার কত হবে?
ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার কমতে চলেছে। গত অর্থবর্ষে উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৯ শতাংশ। এবার তা কমে ১.৬ শতাংশে ঠেকবে। তারইমধ্যে চলতি বছরে কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার আরও বাড়তে বলে প্রাথমিক পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। গত অর্থবর্ষে তিন শতাংশ বৃদ্ধির সাক্ষী ছিল কৃষিক্ষেত্র। এবার তা ঠেকতে পারে ৩.৫ শতাংশে।