মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে এসে পৌঁছল চিনা গুপ্ততচর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। সেই জাহাজের আগমনের আগেই গতকাল ভারতের তরফে একটি ‘উপহার’ পাঠানো হল শ্রীলঙ্কাকে। জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারতের তরফে একটি ডর্নিয়ার বিমান উপহার দেওয়া হয়। এই বিমান নজরদারি চালাতে সক্ষম। কাতুনায়েকে শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে বিমানটি হস্তান্তর করা হয়।
এই আবহে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘সামুদ্রিক নজরদারিতে আমাদের বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার যাত্রা শুরু হল।’ শ্রীলঙ্কান বায়ুসেনার মাত্র ১৫ জন এই বিশেষ নজরদারি বিমানটি চালাতে পারেবন। তাদের দীর্ঘ ৪ মাস ধরে ভারতে প্রশিক্ষণ চলেছে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে কত টাকা নগদ রাখা যায়? কী বলছে আয়কর দফতরের নিয়ম
এদিকে ভারতের এই ‘উপহার’ এবং ‘আপত্তি’ সত্ত্বেও আজ সকালে চিনা গুপ্তচর জাহাজ নোঙর ফেলে শ্রীলঙ্কার বন্দরে। ভারত মহাসাগরে চিনা প্রভাব বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল নয়াদিল্লি। শ্রীলঙ্কাকে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে চিনা জাহাজের নোঙরের বিষয়টি নিয়ে আপত্তিও জানিয়েছিল ভারত। তারপরও শেষ পর্যন্ত চিনা গুপ্তচর জাহাজকে শ্রীলঙ্কায় নোঙর করতে দেওয়া হল। আজ সকালে চিনা জাহাজটি শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে পৌঁছায়। আজ থেকে আগামী ২২ অগস্ট পর্যন্ত এই জাহাজটি শ্রীলঙ্কার বন্দরে থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগে শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে চিনা গুপ্তর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’-এর আসা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল দিল্লি। সেই সময় চিনকে জাহাজ পাঠানোর বিষয়টি পিছিয়ে দিতে বলেছিল শ্রীলঙ্কা। যে জাহাজকে ঘিরে কূটনৈতিক চাপানউতোর, সেটি ইউয়ান ওয়াং সিরিজের তৃতীয় জেনারেশনের জাহাজ। এটি চিনের সেনা পিএলএ ব্যবহার করে থাকে। স্যাটেলাইট এবং মিসাইলের গতিপথ ট্র্যাক করার জন্য এই জাহাজের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই জাহাজে রয়েছে এমন কিছু শক্তিশালী ব়্যাডার যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নজরদারিতে সাহায্য করে।