১৯৫৯ সালে একতরফা ভাবে চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা চিহ্নিত করলেও সেটা ভারত কোনও দিন মেনে নেয় নি, এদিন ফের সেটা স্পষ্ট করল নর্থ ব্লক। অতীতে যে বিভিন্ন বোঝাপড়া হয়েছে যেখানে এই সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর কথা হয়েছে, সেটাও এদিন তুলে ধরা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে ১৯৫৯ সালে জওহারলাল নেহেরুকে চিনের রাষ্ট্রপতি ঝৌ এনলাই যে এলএসি-র প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটাই তারা মনে চলে। প্রসঙ্গত চিনের প্রস্তাবিত নিয়ন্ত্রণ রেখা কোনও দিন মেনে নেয়নি ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন যে একতরফা ভাবে বানানো ১৯৫৯ সালের এলএসি ভারত কখনোই স্বীকার করে নি। এই অবস্থান চিন সহ সবাই জানে, বলেন শ্রীবাস্তব।
প্রমানস্বরূপ ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালের এগ্রিমেন্ট ও তারপর ২০০৫ সালের বোঝাপড়ার কথা তুলে ধরেন। সেগুলি প্রত্যেকটিই এলএসি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার কথা বলে।
সেই পরিপ্রক্ষিতে চিনের দাবি যে এলএসি সেই ১৯৫৯ সালের, তাদের নিজেদের অবস্থানের পরিপন্থী বলে জানান অনুরাগ শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন যে ২০০৩ সালে এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয় কিন্তু চিনের অনড় অবস্থানের জন্য কথা এগোয়নি।
শ্রীবাস্তব বলেন যে চিন একদিকে বলছে যে দুই দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী কাজ করা উচিত, আবার ১৯৫৯ সালের এলএসি মেনে চলতে চাইছে, দুটি একসঙ্গে কি ভাবে সম্ভব। জয়শংকর ও ওয়াং ইয়ি-র আলোচনায় যে পাঁচটি সূত্র উঠে এসেছে তাতেও চলতি সব বোঝাপড়া মান্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চিন।
চিনের এই নয়া প্রস্তাবে এটি সাফ যে সীমান্তে সমস্যা আপাতত মেটার কোনও সম্ভাবনা নেই। শীত পড়তে চলছে, দুই পক্ষই ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে কোনও অনভিপ্রেত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে।