তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে ফের একবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা ভাবতে শুরু করল নয়াদিল্লি। যদিও আফগানিস্তানের তালিবানি শাসনকে এখনই স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই ভারতের। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভারত একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল আফগানিস্তানে। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন জেপি সিং। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন কূটনীতিক হিসেবে কাজ করার দরুণ এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি নখদর্পণে জেপি সিংয়ের। এহেন জেপি সিংয়ের নেতৃত্বাধীন দল আফগানিস্তানের তালিবানি সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠক করে। এরপর থেকেই ফের একবার আফগানিস্তানের সঙ্গে কূনটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জল্পনা শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এর আগে ফেব্রুয়ারিতেই ভারতের নিরাপত্তা আধিকারিকরা পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই কাবুল সফরে গিয়েছিলেন। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই এই সফর করেছিলেন আধিকারিকরা। সেই সময়ই নাকি খতিয়ে দেখা হয় যে এখন ভারতীয় কূটনীতিকরা আফগানিস্তানে অবস্থিত দূতাবাসগুলিতে ফিরতে পারবেন কি না। এদিকে আফগানিস্তানে ভারতীয় দলের সাম্প্রতিক সফরের মূল উদ্দেশ্য হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে মানবিক সহায়তার বিষয়টি। উল্লেখ্য, পালাবদল হলেও ভারত আফগানিস্তানে তাদের মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পাঠানো বন্ধ করেনি। এই আবহে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তালিবান কর্তৃপক্ষেপ বৈঠকে একাধিকবার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির প্রাথমিক পরিকল্পনা, কিছু সংখ্যক জুনিয়র আধিকারিকদের কাবুলে পাঠানো হতে পারে। সেই আধিকারিকরাই ভারতের ত্রাণ বন্টণ এবং অন্যান্য কূটনৈতিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গতবছর তালিবান কাবুল দখল করার পরই ভারত নিজেদের কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে এনেছিল। যদিও দোহায় আফগানিস্তানের তালিবানি শাসকদের সঙ্গে ‘ব্যাকচ্যানেল’ আলোচনা জারি ছিল ভারতের। এই আবহে কাবুলে ভারতীয় উপস্থিতি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কারণ, পাকিস্তান, চিন, রাশিয়া, ইরানের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলি ইতিমধ্যেই কাবুলে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছে। এদিকে তালিবানেরও ভারতকে প্রয়োজন। সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। পাকিস্তানের তেহরিক-ই তালিবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি চূড়ান্ত কারর জন্য আফগান তালিবানদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে পাকিস্তান।