চিনকে কার্যত একহাত নিয়ে শনিবার কোয়াডভূক্ত দুই দেশ ভারত ও অস্ট্রেলিয়া বেজিংয়ের এক সাম্প্রতিক মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে। এর আগে, বেজিং কড়া সমালোচনায় নামে জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংঘবদ্ধ কোয়াডের। এই দেশগুলির সমষ্টিবদ্ধতাকে সংঘাতে উস্কানির হাতিয়ার বলে বর্ণনা করেছিল বেজিং। যার জবাবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, এই দেশগুলির সমষ্টিবদ্ধতা একটি ইতিবাচক অ্যজেন্ডাকে সামনে নিয়ে চলে। যার লক্ষ্যে রয়েছে দেশগুলির শান্তি ও স্থিরতা। এক্ষেত্রে যেকোনও রকমের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে যাতে অবাধে এলাকায় বিচরণ করা যায় তার পক্ষেই সায় দেয় এই সমষ্টি বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরে যখন বেজিং নিজের প্রতাপ অব্যাহত রাখার জন্য রক্তচক্ষু দেখাতে শুরু করেছে, তখনই পর পর কোয়াড বৈঠকে ইন্দো পেসিফিক জলসীমায় অবাধ বিচরণ নিয়ে আলোচনা চলেছে। আর এদিন, যেকোনও রকমের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করার বার্তা দিয়ে কার্যত ভারত ও অস্ট্রেলিয়া নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট জানান দেয়। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমনমন্ত্রী মারিস পেইনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নের জবাবে ,জয়শঙ্কর সাফ জানান, সীমান্তে সেনার সংখ্যা না বাড়ানো নিয়ে যে নিয়ে যে লিখইত চুক্তি রয়েছে তা লঙ্ঘন করেছে চিন। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীরাই জানিয়েছেন, কোয়াড কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয়। এই দেশসমষ্টির ফোকাস শুধুই সমস্ত দেশের একসঙ্গে সমৃদ্ধি ঘটানো। জানানো হয়েছে, কোয়াডের মূল লক্ষ্য, কোভিড ভ্যাকসিন, পরিকাঠামো উন্নয়ন, ও জলসীমার নিরপত্তা।
এর আগে, চিনের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, কোয়াড মূলত মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখতে চিনকে রুখে দেওয়ার চেষ্টা। যার জেরে আন্তর্জাতিক সংঘাতের রাস্তা প্রশস্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে চিন। এদিকে লাদাখ সংঘাত পরবর্তী ভারত চিন সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, 'এটি একটি এমন ইস্যু যার দিকে যুক্তিপূর্ণভাবে আগ্রহ থাকবে বহু দেশের। যদি দেশ ইন্দো পেসিফিক এলাকার অংশ হয়ে থাকে।' এরপর চিনের লিখিত চুক্তি ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে জয়শঙ্কর বলেন, 'একটি বড় দেশ যখন লিখিত প্রতিশ্রুতিকে ভাঙে, তখন আমি মনে করি এটি সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি বৈধ উদ্বেগের বিষয়।'