প্রতিরক্ষা বাহিনী যখন রকেট ফোর্স তৈরির কথা ভাবছে, তখন ভারত শীঘ্রই একটি নতুন দূরপাল্লার জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছে, যা এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে চলন্ত যুদ্ধজাহাজ বা বিমানবাহী রণতরীতে আঘাত হানতে সক্ষম।
সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।
জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি যুদ্ধজাহাজ ও উপকূল উভয় জায়গা থেকেই উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হবে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
সূত্রের খবর, ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে এবং দূরপাল্লা থেকে শত্রুর জলযানকে ঘায়েল করার ক্ষমতা রাখবে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় বিমানবাহিনী উভয়ই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অর্ডার দিয়ে তাদের ইনভেন্টরিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে।
তিন বাহিনীতে স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজনের মাধ্যমে এই সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে, যা তাদের দীর্ঘমেয়াদী সংঘাত বজায় রাখার সক্ষমতা দেবে।
সাম্প্রতিক সময়ে, সংঘাতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বড় আকারের ব্যবহার দেখা গেছে যেখানে এমনকি অ-রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলিকেও মাত্র এক রাতের মধ্যে শত্রু অবস্থানগুলিতে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।
ভারতীয় বাহিনী উত্তর সীমান্তে চিনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, যার একটি বিশাল রকেট বাহিনী রয়েছে এবং যাদের প্রচলিত বা অ-পারমাণবিক ভূমিকায় এই জাতীয় দূরপাল্লার অস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে।
ভারতীয় বাহিনী সমস্ত সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি বৃহৎ আকারের তালিকা সহ এই জাতীয় সংস্থা তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। (এএনআই)
এদিকে এই নয়া সিস্টেম ভারতের হাতে এলে সেটা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটা বড় বন্দোবস্ত হবে। যার মাধ্য়মে শত্রুর সঙ্গে মোকাবিলায় আরও পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করতে পারবে ভারত। এটা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটা গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ভারত প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক ক্ষেত্রে সফল হচ্ছে ভারত। আর সেই তালিকায় এবার যুক্ত হতে পারে নয়া পালক। যেখানে নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করা হবে। নয়া মিসাইল, নয়া সিস্টেম। এবার সেই মিসাইল ১০০০ কিমি দূর দিয়ে যাওয়া শত্রু জাহাজকে একেবারে নিখুঁত নিশানায় উড়িয়ে দিতে পারবে।