লাদাখে কোর কম্যান্ডারদের মধ্যে ১৫ ঘণ্টা ধরে চলা ম্যারাথন বৈঠকের দুই দিন পরে অবশেষে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করা হল। ভারত ও চিন দুজনে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা কমানোর কাজে দায়বদ্ধ বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে এটি সুক্ষ প্রক্রিয়া যাতে প্রতি ধাপে ধাপে মিলিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন আছে যে কথা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না, বলে জানিয়েছে ভারত।
সেনার মুখপাত্র কর্নেল আমন আনন্দ জানান যে বরিষ্ঠ কম্যান্ডাররা ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে কতটা কাজ হয়েছে সেটার পর্যালোচনা করেন। একই সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কী কী করতে হবে সেই নিয়েও কথা হয়।
সরকারের চিন স্টাডি গোষ্ঠী লাদাখে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে বুধবার পর্যালোচনায় বসে। গতকাল চিনের বিদেশমন্ত্রক থেকে বলা হয় কিছুটা কথায় অগ্রগতি হয়েছে। মূলত ডেসপাং ও ফিঙ্গার অঞ্চল থেকে কীভাবে চিনকে পিছিয়ে নেওয়া যায়, সেই নিয়েই চিন্তিত ভারত।
শুক্রবার দুই দিনের লাদাখ সফরে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সেনাপ্রধান মনোজ নারভানে। এর আগে ৩ জুন আচমকা সফরে লেহ যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে গালওয়ান সংঘর্ষে দেখা করা সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নাম না করে চিনকে কড়া বার্তাও দেন তিনি। তার দুই দিনের মধ্যে জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের চিনা আধিকারিককে করা ফোনের পরেই জটিলতা কাটতে শুরু করে। সীমান্ত থেকে চিন সেনা সরাতে শুরু করে। প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৪, ১৫ ও ১৭-তে এখন তিন কিলোমিটার বাফার এলাকা তৈরী হয়েছে যেখানে দুই দেশের সেনা নেই।