বিশ্ব উদ্ভাবন সূচকে ভারত এখন ৪০ তম স্থানে রয়েছে। ব্যাঙ্গালোরে আয়োজিত টেক সামিটে গত বুধবার এমনটাই শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে। সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় তাঁর বক্তব্য রেকর্ডের মাধ্যমে শোনানো হয়। সেখানেই এই তথ্য শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে।
তাঁর কথায় ২০১৫ সালে সারা বিশ্বে ভারতের স্থান ছিল ৮১। সেখান থেকে ভারত উঠে এসেছে ৪০ তম স্থানে। এর পাশাপাশি, ইউনিকর্ন স্টার্ট-আপেও ভারত যথেষ্ট উন্নতি করেছে। এই ধরনের উদ্যোগে সারা বিশ্বের মধ্যে আমাদের দেশ এখন তৃতীয় স্থানে। তাঁর মতে, পুরোটাই সম্ভব হয়েছে দেশের মেধার জন্য।
উদ্বোধনী ভাষণে মোদী সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের আবেদন জানান। তাঁর কথায়, ভারত এখন বিনিয়োগকারীদের রেড কার্পেট। বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন দুয়ে মিলে দারুণ কিছু করা সম্ভব। পাশাপাশি, বিনিয়োগকারীর বিশ্বাস ও দেশের মেধা এক হলে ভারত একদিন সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
ব্যাঙ্গালোরের ২৫ তম টেক সামিটে উদ্ভাবনের কথা বলতে গিয়ে মোদী কেন্দ্রের কয়েকটি প্রকল্পের কথাও টেনে আনেন। জানান, আয়ুষ্মান ভারতের মতো দেশজোড়া প্রকল্প রূপায়ণ সম্পূর্ণ প্রযুক্তির সাহায্যের সম্ভব হয়েছে। দেশ জুড়ে ২০০ মিলিয়ন পরিবার বর্তমানে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। তাঁর কথায়, পরিবার প্রতি তিনজন সদস্য ধরলে মোট ৬০০ মিলিয়ন মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় পড়ছেন।
এছাড়াও কোভিডের সময় কীভাবে জন ধন আধার মোবাইল ট্রিনিটির প্রযুক্তি সবার কাছে সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে সে বিষয়েও উল্লেখ করেন।
এদিন বক্তৃতায় তিনি জানান, সাম্প্রতিক বেশ কিছু সরকারি নীতির কথা। যেগুলো নেওয়ার ফলে দেশে ব্যবসার সুযোগ আরও প্রশস্ত হয়েছে। উঠে আসে সাম্প্রতিককালের বিদেশি বিনিয়োগ নীতির সংস্কার, ড্রোন নীতির সংস্কার ও দেশের বিভিন্ন উৎপাদন ক্ষেত্রে উৎসাহদায়ক প্রকল্পের কথাও।
তিনদিনব্যাপী এই সামিটে সারা বিশ্ব থেকে এসেছেন ১৫ দেশের প্রতিনিধি। এর মধ্যে রয়েছে, জাপান, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, , লুথিয়ানিয়া, আমেরিকা ও কানাডা। সব মিলিয়ে মোট ন'টি মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এই সামিটে। এছাড়াও ২০টি নতুন প্রযুক্তির উদ্বোধন করা হবে। ভারতের ১৬টি রাজ্য থেকে মোট ৫৭৫ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন এই সামিটে।
এদিন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ছমাসের মধ্যে ব্যাঙ্গালোরের আশেপাশে আরও ছ'টি হাই-টেক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে।