ভারতের শত্রুপক্ষ যেই গতিতে নিজেদের সামরিক বাহিনীর আধুনিকরণ করছে, সেই তুলনায় একটু পিছিয়ে আছে দেশ, বলে স্বীকার করে নিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার জন্য একযোগে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে বলে জানান তিনি।
সেনার সঙ্গে বেসরকারি ক্ষেত্রের পার্টনারশিপের ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন সেনাপ্রধান। নারাভানে বলেন যে এই মুহূর্তে দেশীয় অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে জওয়ানদের কিন্তু বর্তমানে জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে যা যা প্রয়োজন, সব কিছু দেশে প্রস্তুত হচ্ছে না। এই কারণে সামরিক প্রয়োজনীয়তার খাতিরে কিছু শতাংশ আমদানি করতে হচ্ছে। শত্রুপক্ষ যখন একেবারে ফটকে, তখন যে কোনও খামতি রাখা যায় না, সেই কথা মনে করিয়ে দেন সেনাপ্রধান। সব অস্ত্রশস্ত্র কেন ভারতে এখনও উৎপাদন করা যাচ্ছে না, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে অনেক সময় প্রযুক্তি এমনই যেটা ভারতে পাওয়া যায় না। আবার উৎপাদন ক্ষমতার অভাবের কথাও বলেন তিনি।
কিন্তু সংকটের সময় বিদেশি সামরিক অস্ত্রের ওপর অতি নির্ভরশীল হয়ে পড়াটা সমস্যার হয়ে উঠতে পারে। এই কারণে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্ননির্ভর হওয়াটি কৌশলগত ভাবে প্রয়োজন বলে জানান সেনাপ্রধান। দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে ঘরোয়া ভাবেই সব অস্ত্রশস্ত্র যাতে পাওয়া যায়, তার জন্য লগ্নি করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন একদিকে ভারতের মানমর্যাদা ক্রমশই বাড়ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। অন্যদিকে সীমান্ত সমস্যা ও দুঁদে প্রতিপক্ষের জেরে ভারতীয় সেনাকে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই জন্য আধুনিকীকরণ জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে খুবই প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন সেনাপ্রধান। বিশ্ববাজার থেকে নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাটি কোথায়, সেটা করোনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বলে তিনি জানান। দ্রুত নীতি রূপায়ণ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেনার বিভিন্ন বিভাগে ঘরোয়া বাজার থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। গত তিন বছরে যে সামরিক রফতানি সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই কথাও তুলে ধরেন তিনি।