কাতার থেকে ১২টি সেকেন্ড হ্যান্ড মিরাজ-২০০০-৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। খবর সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে।
ভারতের জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিরক্ষা সূত্র এএনআইকে জানিয়েছে, ১২টি মিরাজ-২০০০ বিমানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছে একটি প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়েছে।
বিমানগুলো খুব ভালো অবস্থায় আছে এবং এগুলো এখনও যথেষ্ট প্রাণবন্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
কেন এই চুক্তি?
প্রতিরক্ষা সূত্র এএনআইকে জানিয়েছে, ভারতীয় মিরাজ-২০০০ বিমানের বহরের সঙ্গে তাদের বিমানের সামঞ্জস্যের কথা মাথায় রেখেই এই প্রস্তাব বিবেচনা করছে ভারত।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয় ও কাতারি উভয় বিমানের ইঞ্জিনই একই এবং ভারত যদি সেগুলিকে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় তবে তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা আরও সহজ হবে।
কাতার প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকায় ১২টি বিমান সরবরাহ করছে, তবে ভারত আরও যুক্তিসঙ্গত মূল্যে বিমানটি পেতে আগ্রহী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের বিমানগুলোর সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র ও উড্ডয়ন পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত ইঞ্জিন সরবরাহ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে বিমানগুলি উড়ন্ত পরিচালনার জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার জন্য নয়।
কারণ কোভিড চলাকালীন ভারতীয় বিমানবাহিনী এক ফরাসি বিক্রেতার কাছ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড চুক্তিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খুচরা যন্ত্রাংশ এবং সরঞ্জাম পেয়েছিল।
রিপোর্টে কী বলা হয়েছে?
বলা হয়েছে, কাতারের বহরে ভারতীয় বায়ুসেনার বহরে মিরাজ সংখ্যা ৬০-এ নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গোয়ালিয়রকে ঘাঁটি করে মিরাজ নৌবহর ভারতীয় বিমানবাহিনীর মূল ভিত্তি এবং কার্গিল যুদ্ধ ও বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের মতো বড় অভিযান চালাতে বাহিনীকে সহায়তা করেছে এবং উত্তর সীমান্তে চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে।
সব মিলিয়ে এই বিমানগুলি কেনার ব্যাপারে কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে। সব দিক ঠিক থাকলে সেগুলি চলে আসতে পারে ভারতে।