দোরগোড়ায় চিনের আস্ফালন সামলাতে ভারতের উচিত অবিলম্বে আমেরিকার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা। শুক্রবার এই মন্তব্য করলেন মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পিও।
চলতি সপ্তাহে টোকিওয় ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক সেরেছেন পম্পিও। ভারতের সঙ্গে আলোচনায় স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসে সম্প্রতি সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে দিল্লির বিরোধ প্রসঙ্গ। তারই প্রেক্ষিতে মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব গতকাল জানান, ‘উত্তর প্রান্তে ভারতের বিরুদ্ধে বিশাল সামরিক বাহিনী পাঠানোর তোড়জোড় শুরুকরেছে চিন। এই সময় আমেরিকাকে পাশে পাওয়া ভারতের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’
রেডিয়ো চ্যানেলের সঞ্চালক ল্যারি ও’কোনরকে দেওয়া সাখ্ষাৎকারে পম্পিও বলেন, ‘বিশ্ব জেগে উঠেছে। স্রোতের অভিমুখ এখন ঘুরতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে এমন এক জোট তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা, যা ভয়কে দূরে ঠেলে ফেলতে পারে।’
টোকিও সম্মেলন সেরে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে নয়া দিল্লি সফরে আসছেন মাইক পম্পিও। তাঁর সঙ্গী হবেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেবেন ভারতের স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা। আবার বৈঠকের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আগামী সপ্তাহেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সহ-সচিব স্টিফেন বাইগান।
গত জুন মাসে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গালওয়ান উপত্যকায় চিনা ফৌজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাত বাধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্য শহিদ হন, চিনের তরফেও বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার জেরে বেশ কিছু চিনা অ্যাপ-এর উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার। তবে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের মাত্রা চড়লেও তার জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক জোটে শামিল হয়নি নয়া দিল্লি।
ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করেন আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধু। তাঁর আশা, ভারত সফরে আসা পম্পিও ও এস্পারের সঙ্গে আলোচনায় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সম্পর্ক দৃঢ়তর করার উদ্যোগ নেবে নয়া দিল্লি।