গায়ের জোরে আফগানিস্তানে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী নয় ভারত। তা কখনও মেনেও নেওয়া হবে না। বরং রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানসূত্র বের করার পক্ষে সওয়াল করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।|
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী বলেন. 'আমরা একেবারে নিশ্চিত যে আফগানিস্তানে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে সমাধানসূত্র বের করতে হবে। ওখানে সামরিকভাবে সমাধানসূত্রে পৌঁছানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বলপূর্বক আফগানিস্তানে কোনও কিছু দখল করা যাবে না। আমরা আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে আলোচনা করছি, যাতে গুরুত্ব সহকারে রাজনৈতিকভাবে সমাধানসূত্র বের করা যায়। আমরা এমন কোনও ফলাফলের পক্ষে থাকব না, যেখানে গায়ের জোর ফলানো হবে।'
গত বুধবার চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে দেখা করেছিল তালিবানদের একটি প্রতিনিধিদল। তালিবানের যে দলের নেতৃত্বে ছিলেন মুখ্য রাজনৈতিক আলোচনাকারী মুল্লাহ আবদুল বরাদর। যা আফগানিস্তানে থেকে মার্কিন সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার শুরুর পর থেকে চিন এবং আফগানিস্তানের মধ্যে প্রথম শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক ছিল। সেই বিষয়েই প্রশ্ন করেছিলেন স্বপন। প্রত্যুত্তরে সংসদের উচ্চকক্ষে দাঁড়িয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।
চলতি সপ্তাহেই আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আফগানিস্তানের বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন জয়শংকর। আমেরিকার বিদেশ সচিব বলেছিলেন, 'আফগানিস্তানের পরিস্থিতির কোনও সামরিক সুরাহা নেই। শান্তিপূর্ণ সমাধানসূত্র বের করতে হবে। তালিবান এবং আফগানিস্তান সরকারকে আলোচনার টেবিলে বসে কথা বলতে হবে। এই আলোচনায় আফগানিস্তানকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।' ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, '২০ বছর পর যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে, তখন তার প্রতিক্রিয়া হবেই, সেটা ভালো হোক বা বাজে।'