সীমান্তে সংঘাতের আবহেই রাশিয়ায় চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু আগামী মাসের সেই মহড়া থেকে সরে এল নয়াদিল্লি। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা শনিবার একথা জানিয়েছেন।
আগামী ১৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ার অ্যাস্ট্রক্যান অঞ্চলে ‘ক্যাভকাজ ২০২০’ সেই মহড়া চলবে। তাতে যোগ দিতে পারে পাকিস্তানও। সেখানে ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার একটি দল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে। নাম গোপন রাখার শর্তে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, একাধিক বিষয় নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তারপরই সেই সামরিক মহড়া থেকে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক আধিকারিক বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে আমাদের বাহিনীর সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মহড়ায় অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ অপর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে দক্ষিণ ওসিসা এবং আবখাজিয়াও। যে দুটি দেশকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। সেটাও নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
দ্বিতীয় আধিকারিকের বক্তব্য, দক্ষিণ ওসিসা এবং আবখাজিয়াকে জর্জিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করে রাষ্ট্রসংঘের অধিকাংশ সদস্য। ভারতও সেই দলে পড়ে। নয়াদিল্লির যুক্তি হল, ওই দুটি ‘দেশ’ রাষ্ট্রসংঘের সদস্য নয়। দক্ষিণ ওসিসা এবং আবখাজিয়াকে অবশ্য দেশ হিসেবে বিবেচনা করে রাশিয়া। কিন্তু এরকম মহড়ায় অংশগ্রহণের ফলে কূটনৈতিক সমস্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা ভারতের।
পাশাপাশি, চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে মহড়ায় অংশ নেওয়ার খবর প্রথম সামনে আসার পর থেকেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে নয়াদিল্লি। বিশেষত চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ ও গালওয়ান সংঘর্ষের পর কেন ভারত কেন সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল।