বাংলাদেশে নির্বাচন কবে হবে? তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই সবের মাঝেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হয় গতালকের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের সময়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন নিয়ে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত একটি মন্তব্য করেছিলেন সম্প্রতি। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয়েছিল রণধীরকে। তবে তিনি সরাসরি সেই প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি। তবে তিনি জানিয়ে দেন, ভারত ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে এগোতে চায়। দুই দেশের মঙ্গলের স্বার্থে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক চায়। (আরও পড়ুন: বেতন বৃদ্ধি, আয়কর ছাড়ের 'আশা'… কবে থেকে কবে পর্যন্ত চলবে এবারের বাজেট অধিবেশন?)
আরও পড়ুন: RG Kar LIVE: আজ রায়দান আরজি কর মামলায়, চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে ফাঁসি হবে সঞ্জয়ের?
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির বিপক্ষেও ভোট পড়ল ইজরায়েলি ক্যাবিনেটে, তবে অবশেষে মিলল সবুজ সংকেত
উল্লেখ্য, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি সম্প্রতি বলেছিলেন, আমেরিকা এবং ভারত উভয় দেশই বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন দেখতে চায়। তিনি বলেছিলেন, 'আমি মনে করি, আমরা দুই দেশই একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চাই। এই নীতিতে একমত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।' এদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে এরিক গারসেটি বলেছিলেন, 'আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে বাংলাদেশ বা যেকোনও দেশেই হোক না কেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের শিকার হওয়া উচিত নয়।' এই আবহে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে এসেছেন, ভারত ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই এগোতে চায়। এটাই আমাদের মনোভাব। বারবার তা জানানো হয়েছে। এই মনোভাব ইতিবাচক এবং এই মনোভাবই বহাল থাকবে।' (আরও পড়ুন: মহাকাশে কীভাবে স্যাটেলাইট ডকিং? ভিডিয়ো প্রকাশ ইসরোর, কী বার্তা নয়া ডিরেক্টরের?)
আরও পড়ুন: কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনের ৩ দিন পর 'মূল অভিযুক্ত' ধরা পড়ল নিজেরই বাড়ি থেকে
আরও পড়ুন: সপ্তম চেষ্টাতেও কেন ভেঙে পড়ে স্টারশিপ? স্পেসএক্স রকেটের 'রোগ' ধরলেন মাস্ক
এদিকে সম্প্রতি অধ্যাপক আলি রিয়াজের নেতৃত্বধীন সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন নিজেদের রিপোর্ট জমা দেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কাছে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিফলনস্বরূপ এই সংবিধান সংস্কারের খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। সেখানেই বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একাধিক পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে সংস্কার কমিশনের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। এই আবহে প্রস্তাবিত সংস্কার সম্পন্ন করতে কতদিন সময় লাগবে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের? এই নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে গতকাল বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, 'সংস্কারের জন্য ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।' এই আবহে সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পরই বাংলাদেশে নির্বাচন করানো হবে বলে বারবার জানিয়ে এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।