হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র নূপূর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এর আগেই কাতার ভারতীয় দূতকে তলব করেছিল। সেই ধারা বজায় রেখে একে একে ইরান, কুয়েত ও সৌদি আরবও ভারতীয় দূতকে তলব করেছে। এই আবহে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে কিছুটা টান পড়েছে। সেইসঙ্গে ভারত সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার বার্তা দেয় দোহা। যদিও ভারতের তরফে এই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, নূপূর শর্মার বক্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকার একমত নয়। এমনকি কেন্দ্রের শাসকদল নূপূরকে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করেছে।
রবিবার কাতারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, যে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে, তা ভারত সরকারের অবস্থান নয়। সেই মন্তব্য ভারত সরকারের মতাদর্শ নয়। সমাজের কোনও একটি অংশের মনোভাব সেটা। যাঁরা সেই অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদিও কাতারের তরফে ভারত সরকারকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে জনসমক্ষে। একই পথে হেঁটে কুয়েতও ভারতীয় দূতকে তলব করে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বলেছে। এদিকে সৌদি আরবও ভারতীয় দূতকে তলব করে বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যকে ‘অপমানজনক’ আখ্যা দিয়েছে। তবে বিজেপি সেই নেত্রীকে বরখাস্ত করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি তথ্যযাচাইকারী ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়ের বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নুপূর শর্মার একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় নুপূর বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার নুপূরকে সাসপেন্ড করে দেয় বিজেপি। সেই ঘটনায় নাম উঠে আসা অপর বিজেপি মুখপাত্র নবীনকুমার জিন্দলকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে নুপূর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন নুপূর।