পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইতিমধ্যেই পাশ হয়েছে 'ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (রিভিউ অ্যান্ড রি-কনসিডারিং) অ্যাক্ট।' সেই আইন অনুযায়ী এবার পাকিস্তানি আদালতে নিজের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারবেন কুলভূষণ যাদব। তবে ভারতের দাবি, এই আইনে খুঁত রয়েছে। কারণ, এই আইন অনুযায়ী ভারতীয় আইনজীবী বা নিরপেক্ষ কোনও আইনজীবী কুলভূষণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না। এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সচিব অরিন্দম বাগচি বলেন, আইসিজে-র রায় অনুযায়ী পদক্ষেপ নিক পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, হেগ-এ অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস-এর নির্দেশে এই বিল পাশ করে পাকিস্তান। এর আগে ২০১৭ সালে কুলভুষণকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। এতদিন এই আদেশ খারিজের আবেদন করতে পারছিলেন না তিনি, তাঁকে কোনও ভারতীয় আইনজীবীর সহায়তাও নিতে দিচ্ছিল না পাকিস্তান।
সেই সময় ভারত সরকার পাকিস্তানি আদালতের এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে। কুলভূষণ যাদব যাতে ভারতের আইনি সহায়তা পান, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইন্টারন্য়াশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের দ্বারস্থ হয় ভারত। সেখানে ভারতের জয় হয়। এরপর ২০২০ সালে আইসিজে-র নির্দেশে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি অর্ডিন্যান্স পেশ করেছিলেন। সেই বিল পাশ হয় পাকিস্তানি সংসদে।
তবে সেই আইনে খুঁত রয়েই গিয়েছে। কুলভূষণকে এখনও কোনও ভারতীয় আইনজীবীর সহায়তা নিতে দিচ্ছে না পাকিস্তান। তাই পাকিস্তানকে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলল দিল্লি। এদিকে কুলভূষণের জন্যে বিশেষ কাউন্সেল নিয়োগ করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় পাক সরকার। সেই মামলার শুনানি আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।