১২ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই ভারত নাকি মার্কিন পণ্যের ওপর ধার্য অতিরিক্ত শুল্ক কমাতে পারে। সরকারি আমলাদের উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকেই এই নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধ এড়াতে এই পদক্ষেপ করা হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ইলেকট্রনিক, সার্জিক্যাল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কিছু রাসায়নিকের মতো অন্তত এক ডজন খাতে শুল্ক ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: DA নিয়ে সুখবর দিয়েছিলেন CM, তবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে বেতনই ঢুকছে না)
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঘটনায় ভারতের বিবৃতিতে বদহজম, 'ব্যর্থতা ঢাকতে' বাংলাদেশ বলছে…
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এমন সব পণ্যগুলির ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে যেগুলির জন্য ভারত সাধারণত মার্কিন রফতানির উপর নির্ভর করে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ডিশ অ্যান্টেনা ও কাঠের পাল্প। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই শুল্ক ছাড় ভারতের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন পরিকল্পনার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ১৩০৮, চলছে ‘ন্যারেটিভ’ বদলের চেষ্টা?)
এক আধিকারিকের মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের উদ্দেশ্য হল, বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানো। এদিকে বিদেশ মন্ত্রক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভারতের শুল্ক কমানোর বিষয়ে বিবেচনা করার দাবির বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এরই মাঝে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যকার বৈঠকে মূলত বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে শুল্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভবত পরে অনুষ্ঠিত হবে। (আরও পড়ুন: মোদীর সফরের আগে ফের শুল্ক নিয়ে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের, সঙ্গে তৈরি ‘সাসপেন্স’)
আরও পড়ুন: ২.৮৬ নয়, ২ হলেই হয়... গ্রেড ধরে ধরে জানুন কত বাড়তে পারে সরকারি কর্মীদের বেতন
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতের শুল্ক নীতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাম্প্রতিক অতীতে সিবিএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমরা এতটা বোকা দেশ নই যে এত বাজে করব। ভারতের দিকে দেখুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমার খুব ভালো বন্ধু। তবে তারা কী করে দেখুন। মোটোরসাইকেলের ওপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। আমরা তাদের পণ্যের ওপর কোনও শুল্ক ধার্য করি না। যখন হারলে ভারতে বাইক পাঠায়, তখন সেগুলির ওপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। আর ভারত যখন এত এত বাইক পাঠায় এখানে, তখন আমরা কোনও শুল্ক ধার্য করি না। আমি তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে বলেছিলাম, এটা ঠিক হচ্ছে না। আমার একটা ফোনেই হারলের শুল্ক হার ৫০ শতাংশ কাটছাঁট করা হয়েছিল। তবে আমি বলেছিলাম, এটা এখনও গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ৫০ শতাংশ বনাম শূন্য। তারা বলে যে এটা নিয়ে তারা কাজ করছে।' উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত হারলে ডেভিডসনের ওপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছিল। আর এবারের বাজেটে তা আরও কিছুটা কমানো হয়।